নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে মা-মেয়েসহ ৩ জন ও ১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত।
মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াাখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় পানিতে ডুবে মা-মেয়েসহ তিনজন মারা গেছেন। এদিকে সুবর্ণচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন একজন। মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা, রাত ৮টা ও রাত ৯টার দিকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হচ্ছেন- হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ম্যাকপার্শন গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (২৩), আকলিমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার সালমা (২), সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রাম ভূঁইয়ারহাট এলাকার দিলাল মিয়ার মেয়ে লাইবা জাহান (৫) ও একই ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের নান্টু সূত্র ধরের ছেলে দেবু সূত্র ধর (৩৫) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে জাহাজমারা ৮নং ওয়ার্ডের সোহরাবের স্ত্রী তার শিশু সন্তান সালমাকে নিয়ে পাশের বাড়ির একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তারা দুজন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে তাদের কোন সন্ধান পায়নি। সন্ধ্যার দিকে ওই পুকুরে আকলিমার লাশ ভাসতে দেখে একজন প্রতিবেশী। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তার লাশ উদ্ধার করলেও সালমা নিখোঁজ ছিল। শিশুটির লাশ পুকুরে থাকতে পারে এমন সন্দেহে এলাকার লোকজন পুকুরে জাল ফেলতে থাকে। রাত ৮টার দিকে তাদের জালে সালমার লাশ আটকা পড়ে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পরিবারের লোকজন বলছে, পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভূঁইয়ারহাট বাজারের পার্শ্ববর্তী দিলালের মেয়ে লাইবা জাহান বিকালে বাড়ির বাচ্চাদের সাথে আঙিনায় খেলছিল। সন্ধ্যায় তাকে ঘরে ফিরতে না দেখে তার বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাদের বাড়ির পুকুরে লাইবা জাহানের লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।অপরদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে হাজীপুর গ্রামের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দেবু সূত্র ধর (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।