মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার ফারুক উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চর হাসান গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করে চরজব্বর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বুধবার (১৭ মার্চ) বাদী হয়ে সুবর্ণচর থানায় মামলা দায়ের করেন।জানা যায়, ভিকটিম একজন বাক প্রতিবন্ধী তরুণী এবং ভিকটিমের বাবাও একজন বাক প্রতিবন্ধী। তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। প্রতিবন্ধী মেয়ের গত ২ বছর পূর্বে চৌমুহনী এলাকার এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের এক বছর পর হতে সে স্বামী প্রতিবন্ধী স্ত্রীর কোনো খোঁজ খবর রাখে না এবং শ্বশুর বাড়িতেও আসে না। ধর্ষক ফারুক ধর্ষিত তরুণীর প্রতিবেশি। এক পর্যায়ে বাক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার। কয়েক মাস আগে একদিন ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফারুক ভিকটিমের রান্না ঘরে ঢুকে রসুন বাটার সময় তরুণীকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে রান্না ঘরের একপাশে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় চিৎকার দিতে পারেনি এবং উক্ত বিষয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারেনি। গত বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল বেলা মেয়ে পেটের ব্যথায় কান্নাকাটি করলে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ইশারা ইঙ্গিতে তার পেটে বাচ্চা রয়েছে বলে জানায়। বাচ্চা কি ভাবে আসলো জানতে চাইলে সে তার মাকে জানায় ফারুক তাকে ধর্ষণ করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার আলট্রাসনোগ্রাফি করালে জানতে পারে মেয়ে ৩ সপ্তাহ তিন দিনের গর্ভবতী। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ আসামী ফারুককে গ্রেফতার করে।
চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহীম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মায়ের মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।