মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার নুরুল অামিন (৩২) পেশায় অটোরিকশা (মিশুক) চালক রিয়া অাক্তার(৭) ও রিমন হোসেন(৫) নামে দুই সন্তানের জনক।প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪ ডিসেম্বার নুরুল অামিন বিকাল ০৪:৩০ ঘটিকায় রিক্সা নিয়ে জীবিকার তাগিদে বাহির হয়। রাত অনুমান ০৮:৩০টার সময় সংবাদ অাসে নুরুল অামিনের মৃতদেহ চাটখিলের ২ নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গনি বাড়ীর দরজার সামনে রাস্তার পাশে গলায় পাশ লাগানো অবস্থায় সুপাড়ি গাছের সাথে বাধা।সংবাদ পেয়ে চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়ে শুরু হয় মামলার তদন্ত। পুলিশ সুপার নোয়াখালী নির্দেশনায় চাটখিল থানা পুলিশ মাঠে থেকে নিরলস তদন্ত চালিয়ে যায়।তদন্ত কালে জানা যায় হত্যাকারী নুরুল অামিনকে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল নিয়ে যায়।শুরু হয় রিক্সা উদ্ধারের জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। তদন্তের ২ দিন পর টিম চাটখিল সনাক্ত করে হত্যাকরী নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার নলুয়া গ্রামে অবস্থান করছে কালবিলম্ব না করে পুলিশ সুপার নোয়াখালী নির্দেশে টিম চাটখিল নলুয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।হত্যাকারী মাহবুবকে ভিকটিমের মোবাইল সহ গত ২৮ ডিসেম্বার রাতে কৌশলে গ্রেপ্তার করে।পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বার মাহবুবের দেয়া তথ্যমতে উদ্ধার হয় ভিকটিম নুরুল অামিনের অটোরিকশা ও তথ্যমতে তারিখ ভোরে ফেনী সাহদেবপুর এলাকায় হত্যাকারী মাহবুবের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার হয় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সীম।মাহবুব কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মাহবুব ভিকটিম নুরুল অামিনের ঘারে ঘুষি মারলে।মৃত নুরুল অামিন জ্ঞান হারায়।অজ্ঞান নুরুল অামিনকে মাহবুব গামছা দিয়ে সুপাড়ি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অটো রিক্সা, মোবাইল ও ভিকটিমের টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকারী মাহবুব নিজের দোষ স্বীকার করে অাজ বিজ্ঞ অাদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। উদঘাটন হয় এক গরীব রিক্সা চালকের ক্লুলেস হত্যার রহস্য।উজ্জ্বল হয় পুলিশের ভাবমূর্তি।চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেন।