নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে শান্তি ফেরাতে যে প্রস্তাব দিলেন : মির্জা।
মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব সংঘাতের জেরে উত্তাপ্ত ছড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আর যাতে রক্তপাত, সংঘর্ষ না হয় এবং অস্ত্র, মাদক, দখলদার ও দুর্নীতিবাজমুক্ত পরিবেশে মানুষ যাতে নিঃশ্বাস নিতে পারে সেজন্য কয়েকটি প্রস্তাব রেখেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব প্রস্তাব রাখেন।আবদুল কাদের মির্জার প্রস্তাবনাগুলো হলো, নোয়াখালীর যে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাদের সরিয়ে অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজিচালক আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে এবং তাদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার এবং প্রশাসনের কাছে বিচারের জোর দাবি জানান। গত তিন মাসের ঘটনায় যারা মামলা করুক না কেন, রাজনৈতিক কারণে মামলায় অনেককে জড়ানো হয়েছে। সেই মামলাগুলোতে সঠিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
কোনো পুলিশের ওপর কেউ যদি আক্রমণ করে থাকে সেক্ষেত্রে পুলিশ যদি মসজিদে বসে বলেন আমাদের এ লোকটা আক্রান্ত হয়েছে তাহলে আমরা যেকোন ব্যবস্থা মেনে নেব। এখানে ষড়যন্ত্র করে অর্থের বিনিময়ে পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিএনপি-জামায়াত এলাকাছাড়া। আবার তারা ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ এলাকাছাড়া ও মামলা হামলার শিকার। এ সংস্কৃতি বন্ধ করে সহাবস্থানের রাজনীতি চালু করতে হবে।কোম্পানীগঞ্জের আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে এখানে সুন্দর পরিবেশ সরকার ও প্রশাসনকেই সৃষ্টি করতে হবে। আমি দল থেকে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছি। এ প্রশ্নে কোনো আপোস নেই। আমি ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবও না। তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে গত তিন মাসে যারা নৈপথ্যে থেকে অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। পৌরসভা নির্বাচন শেষে শপথ নিতে যাওয়ার পথে দাগনভূঁঞায় আমার ওপর হামলার বিচার হতে হবে।