নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ।
মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা বলেন, ‘আমার সাতজন কর্মীকে গত রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যখন শুনলাম থানায় তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে তখন তাদের দেখতে থানায় গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম, আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখনও আমার কর্মীর ওপর এত নির্যাতন হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তাদের দেখে ফেরার সময় অ্যাডিশনাল এসপি আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। আমি দশ বার বলেছি আমি ডিএস (ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি) মর্যাদার, তুমি আমার গায়ের ওপর হাত দাও কেন? সে তার পরেও আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। ওসি আমার সহকারী সাজুর গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। তাকে মারধর করে তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।
কাদের মির্জা আরও অভিযোগ করেন, ‘আসার পথে অ্যাডিশনাল এসপি, ওসিসহ পুলিশ আমাকে অকথ্য ভাষায় মা ধরে গালি-গালাজ করেছে। আমি কোনোদিন থানায় যাইনি। আজকে একদিন গিয়েছি এদের অত্যাচারের কথাটা দেখে আসার জন্য এবং শোনার জন্য। আজকে আমাদের ওপর এ তাণ্ডব চালিয়েছে। গত তিনটা মাস ধরে আমার ওপর তাণ্ডব চলছে।নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা সবাই মির্জার অনুসারী।মির্জার দাবি, সোমবার রাত ১০টার দিকে যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তার আরও তিন অনুসারীকে পুলিশ আটক করে।
মির্জা বলেন, ‘বিরোধী দলে থাকাকালীন পুলিশ, প্রশাসনসহ সবাই আমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান করত। আজকে আমি সরকারি দলের লোক, আওয়ামী লীগের সংগঠনে না থাকলেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের হয়ে কাজ করছি। আজকে আমার অনুসারীদেরকে যেভাবে থানা-পুলিশ অত্যাচার করছে, এটা একাত্তরকেও হার মানিয়েছে।
‘মিকনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে এমনভাবে নির্যাতন করেছে, শোয়া থেকে উঠে আমার সাথে কথা বলতে পারছে না। মিকন ছাড়াও বাকি ছয়জনের ওপরও পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছে।তবে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ কাদের মির্জার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘কাদের মির্জা থানায় গিয়ে সরাসরি হাজতের সামনে চলে যায়। আমি শুধু তাকে বলেছি আপনি ওসির রুমে আসেন। এ ছাড়া আর কোনো কথা হয়নি এবং কথা বাড়াবাড়িও হয়নি।