পত্রিকা বিক্রেতা রুবেল মিয়াকে খাদ্যসামগ্রী দিলেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান
অপরাধ ডেস্ক: এ খাদ্যসামগ্রী পেয়ে ১৫ মে রুবেল মিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন চালু রেখে হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকার প্রিন্ট বন্ধ আছে। তাই পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করা আসার পথ বন্ধ রয়েছে। জীবিকা নির্বাহে সরকারীভাবে উপজেলা থেকে দুইবার ২০ কেজি চাল ও এক কেজি আলু পেয়েছি। এছাড়া লন্ডন প্রবাসী রেশমা চৌধুরীর কাছ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগী পাই। খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন আব্বাস উদ্দিন তালুকদার ও সুজন চৌধুরী। পৌর মেয়রের কাছ থেকেও কিছু নগদ অর্থ পেয়েছি।
এতো দিন এসব দিয়ে চলেছি। খাবার শেষ হয়েছিল। এ সময়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমাকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করে বিরাট উপকার করেছেন। তিনিসহ সহায়তাকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে যারা বিরাট সমস্যায় আছে, তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করছি।
এ পরিস্থিতির শুরু থেকেই মাঠে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে সচেতনামূলক লিফলেট ও সাবান ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করি।
শায়েস্তাগঞ্জ মাইক্রোবাস সমিতির পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ১১০ জন ও দ্বিতীয়বার ৯৫ জন শ্রমিককে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছি। নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে কদমতলী ও মড়রা গ্রামের শতাধিক গৃহবন্দি লোকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এমপি মহোদয়ের সাথে সচেতনমূলক প্রোগ্রাম ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছি।
উপজেলা প্রশাসন আমাকে প্রাণ কোম্পানির থেকে পাওয়া প্রথমে ৩৫ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী ও ২৪ প্যাকেট দুধ দেন শিশুদের জন্য এবং আশা এনজিও’র ৩০ প্যাকেট ত্রাণ দরিদ্র লোকজনের মাঝে বিতরণ করে দিয়েছি।
যেখানে শুনছি সরকারী ত্রাণ পৌঁছেনি আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমি আক্তারকে জানাই। অনেক সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল চাচাকেও জানাচ্ছি। গৃহবন্দি লোকজনের কাছে উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। তার সাথে আমার নিজ উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, এখন মন্তব্যের সময় নয়। সবাই মিলেমিশে অবস্থা করে বেঁচে থাকার চেষ্টা.