কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (বরখাস্ত) মো. রফিকুল ইসলাম রেনু’র সমর্থক ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাখানেক চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসের পিয়ন পথচারী হাবিবুর রহমান হাবিব সহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (বরখাস্ত) মো. রফিকুল ইসলাম রেনু’র বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে দায়ের করা একটি মামলার হাইকোর্টের জামিন পেয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে ঢাকা থেকে পাকুন্দিয়া আসছে এমন খবর পেয়ে তার সমর্থকরা উপজেলার থানাঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েক’শ সমর্থক জড়ো হয়ে যায়। এমন সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (বরখাস্ত) রফিকুল ইসলাম রেনু’র গাড়ি থানাঘাট এলাকায় পৌঁছালে কয়েক’শ সমর্থক নিয়ে পাকুন্দিয়া শহরে প্রবেশ করে। এই খবর পেয়ে উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীরা রফিকুল ইসলাম রেনু কে প্রতিহত করতে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হয়। রবিবার সকাল ১১ টার সময় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ গেইটে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানে থাকা উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীরা তাকে বাঁধা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ইট পাটক্ষেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসের পিয়ন পথচারী মো. হাবিবুর রহমান হাবিব সহ তিন জন আহত হয়। প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী দু- পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে দু’পক্ষের উতপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রবিবার বিকেল পাঁচটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।