আলাউদ্দিন হোসেন,পাবনা: পাবনা ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাদারবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি পদের নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ সংক্রান্ত সকল বিষয় খতিয়ে দেখতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আছাদুর রহমান নিজের প্রভাব খাটিয়ে কমিটির আরো কয়েকজন সদস্যকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসীর। জানা গেছে, উক্ত বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারটের পদে একজন এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে লোক নিয়োগ করা হবে। যার লিখিত পরীক্ষা তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে আগামী ১৯ আগষ্ট। বেশ কয়েকজন আবেদনও করেছেন। কিন্তু অন্য আবেদনকারীদেরকে নানা মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, এখানে পরীক্ষা দিয়ে কোন লাভ হবে না, আগেই নির্ধারন হয়ে গেছে কার চাকরি হবে। তথ্যানুসন্ধানে এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মারফত জানা গেছে, তারা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আছাদুর রহমানের ভাতিজা মনজুরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। এছাড়াও ল্যাব অপারেটর পদে বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে ইমরান হোসেন নামের আরেকজন প্রার্থীতে নিশ্চিত করা হয়েছে উক্ত পদে। এলাকাবাসী এও জানায়, বিদ্যালয়ের এই ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র সোয়া এক মাস। এ সময়ের মাঝেই তারা এই নিয়োগ দুটো দিতে চান। বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা কেউই এ বিষয়ে কোনরুপ কথা বলছেন না শুধুমাত্র ম্যানেজিং কমিটির ক্ষমতার দাপটে। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন সঠিকভাবে হয় এটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকার বিদ্যোৎসাহী মানুষেরা। যার মধ্য দিয়ে যোগ্যতা সম্পনś মানুষের যেন চাকরি হয়। এজন্যই তারা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কঠোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।