পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ কাউখালী সুপেয় পানির জন্য সরকারি বে-সরকারি ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং এনজিওগুলো গভীর নলকূপ বসানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জানা গেছে , কাতার ভিত্তিক একটি সংস্থা স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ বসানোর কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে আসছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাতার চ্যারেটি নামক একটি সংস্থা উপজেলার শিয়ালকাঠীতে আশ্রাব আলী হাওলাদারের পুত্র মেহেদী হাসানের নামে একটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংস্থাটির নিয়মানুসারের গভীর নলকূপটি সম্পূর্ণ ফ্রি বসানোর কথা থাকলেও ঠিকাদার আবুল বাশারের প্রতিনিধি মতুজার্ আহম্মেদ ২৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করার সকল যন্ত্রপাতি ও উপকরণ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে গভীর নলকূপ স্থাপন না করে স্থাপনার নাম করে ২ দিন সময় ক্ষেপন করে টিউবয়েল স্থাপনার জায়গার পাশে একটি পুকুরের সাথে সংযোগ দিয়ে গভীর নলকূপটি চালু করে। এরপর নলকূপটির প্লাটফর্ম যথানিয়মে তৈরি করা হয়। টিউবয়েলটির ক্রমিক নং- কাতার চ্যারেটি- ২৫৪৩৫৩ নামক একটি সাইনবোর্ড টিউবয়েলের পাশে সম্প্রতি স্থাপন করা হয়। ভূক্তোভুগী মেহেদী হাসান জানান, গভীর নলকূপ বসানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা সংস্থার ঠিকাদার গ্রহণ করলেও আমার পুকুরের সাথে সংযোগ দিয়ে প্রতারণা করে চলে যায়। আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশনের কাছে অভিযোগ করতে চাইলে আমাকে পুনরায় একটি টিওবয়েল স্থাপন করার কথা দিলেও এখন তারা আর ফোন ধরছে না। এব্যাপারে ঠিকাদার আবুল বাশার মুঠোফোনে জানান, ২০ হাজার টাকা গ্রহককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। পরবতর্ী সময় তাকে টিউবলের ব্যবস্থা করা হবে এই বলে ব্যবস্থা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা নিবাহী কর্মকতার্ খালেদা খাতুন রেখা জানান, গত ফেব্রুয়ারী মাসে কাতার চ্যারেটির গভীর নলকূপের পাওয়ার জন্য ঠিকাদার আবুল বাশারকে সুপারিশ করেছিলাম। পরবতর্ীতে টিউবলের স্থাপনের পর কোন প্রত্যয়ন নেয় নি। পুকুরের সাথে সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি, অভিযোগের সত্যত্যা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।