পিরোজপুরের কাউখালীতে পাটিশিল্প পল্লীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন

প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২১

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে পরপর দুই দফা করোনার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ৩টি কারিগরী শিল্পের কারিগররা। উপজেলায় এ ৩টি পেশায় ৩ শত পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ এখন কর্মহীন। তাদের করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা তো দুরের কথা উনুনে হাঁড়ি চলেনা অনেক পরিবারেরই। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার সোনাকুর, সুবিদপুর, কুমিয়ান সহ বিভিন্ন গ্রামে এ সকল কারিগরী পেশার মানুষদের মাঝে কথা বলে তাদের ক্ষোভের কথা জানা যায়। এসময় তাদের ক্ষোভ দূর করতে এগিয়ে আসেন কাউখালী প্রতিবন্ধী কল্যান সংস্থার সভাপতি সমাজ সেবক আঃ লতিফ। তিনি এই সকল পিছিয়ে পড়া এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করেন। এর মধ্যে ছিল শিশুদের শিশু খাদ্যসামগ্রী, ডায়রিয়া প্রতিরোধক খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, মাস্ক ,স্যানিটাইজার ও সাবান। উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে প্রায় দেড়শত পরিবার রয়েছে যাদের শতশত বছরের পেশা শীতল পাটি তৈরী করে  জীবন জীবিকা নির্বাহ। পাটি শিল্পের সম্মুখ সারির কারিগর অনিল পাটিকর জানান, পরপর দুই বার করোনার লকডাউনে আমাদের পূর্ব পুরুষের পেশা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। আর এদের পরিবারে এখন উনুন চলে না। ঠিক একই রকম সুর ভেসে এসেছে উপজেলার সোনাকুর গ্রামের দুই শতাধিক মৃৎশিল্প কারিগর পরিবারের মাঝে। এদেরও অনেকেই ক্ষোভের সাথে ও কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, করোনায় আমাদের ব্যবসা বানিজ্য আমাদের শিল্প কারুকার্য সমস্ত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অন্যদিকে শোলা শিল্পের এবং বেত ও বাঁশের শিল্পের পরিবারের মাঝেও হতাশা নেমে এসেছে। এতে  প্রায় উপজেলার সহস্রাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা জানান, সরকারিভাবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিজিএফ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা চেয়্যারম্যান মেম্বরদের সাথে  যোগাযোগ করলে সহায়তা পাবে। 




error: Content is protected !!