বগুড়া-৪ আসনে নিরুত্তাপ নির্বাচনী হাওয়া, তবু্ও থেমে নেই প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। আর বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে নিরুত্তাপ হাওয়া। তবুও থেমে নেই সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ হতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের উদ্যোগ এবং উৎসাহিত করা হলেও এই নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মনে ভোটাধিকার প্রয়োগে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এর কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ২টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধীতা-বর্জন করেছে
বিএনপি এবং বিএনপির সমমনা দলগুলো।
এই নির্বাচনে যদি ধানের শীষ প্রতীক থাকতো তাহলে মূল লড়াইয়ে থাকতো নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক। এমন পরিস্থিতিতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উৎসাহ উদ্দীপনা থাকতো অনেক বেশি। এ আসনে নৌকা প্রতীক থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেই। নৌকা প্রতীক ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যেকারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।
এতে আশাহত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। একারণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও নেই ভোট নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা। ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ও জেলা জাসদ সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী তার পাশে নেই। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি দলীয় ৪ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লার ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছে।
এমনকি নন্দীগ্রাম উপজেলা জাসদ সভাপতি কামরুজ্জামান তার অনুসারী ও সহকর্মীদের নিয়ে ঈগল প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা শুরু করে দেয়। সেই কারণে বগুড়া জেলা জাসদের সভায় নন্দীগ্রাম উপজেলা জাসদের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে।
এছাড়াও এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টি প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক লাঙ্গল প্রতীক, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ডাব প্রতীক, গণতন্ত্রী পার্টি প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম কবুতর প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশফিকুর রহমান কাজল ট্রাক প্রতীক নিয়ে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। নির্বাচনী এলাকার অনেক ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে এই এলাকায় ভোটার উপস্থিতি খুব কম হবে। এর কারণ হিসেবে দেখছে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে আগের মতো আগ্রহ নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে ৩০-৩৫ শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আবার কমবেশিও হতে পারে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যা এখন দেখার অপেক্ষা।



error: Content is protected !!