দক্ষিণ চট্টগ্রামের পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এই অতিথি পাখিদের বিচরণ দেখতে পর্যটকরাও ভিড় জমান।
ইকোপার্কের সবুজ বনানী ও অতিথি পাখির কিচিরমিচির, এলোমেলো ছড়ানো অসংখ্য লেক, আঁকাবাঁকা রাস্তা, দুইটি ঝুলন্ত ব্রিজ, ৩টি পর্যটন টাওয়ার হতে সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের টেনে আনে এখানে। ইতিমধ্যেই অতিথি পাখিদের আগমন লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বাঁশখালীর অন্যতম পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্ক।
ইকোপার্কে আসা পর্যটক আবুল কালাম বলেন, এই বিশাল পাহাড় ঘেরা পর্যটন স্পটটি সরকার যথাযথ ভাবে সংস্কার করলে অনেক বেশি রাজস্ব পেত। প্রতিবছর ৬/৭ লাখ টাকা মূল্যে এ ইকোপার্ক লিজ প্রদান করা হলেও অধিকাংশ স্থাপনা পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায় । শৌচাগার গুলো ব্যবহার অনুপযোগী, ওপরে ওঠার সিড়িগুলোও ভেঙে পড়ছে।
ইকোপার্কের ইজারাদার কায়েশ সরোয়ার সুমন বলেন, পার্কের স্থাপনাগুলো ও সড়কটি সংস্কার করা হলে পার্কে আসা-যাওয়া করা সবার জন্যই ভালো হতো।
বাঁশখালী ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুজ্জমান শেখ জানান, পার্কে প্রবেশের সড়কটি সরু হওয়ায় বড় ধরনের গাড়ির আসা-যাওয়ায় সীমাহীন বেগ পেতে হয়। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বাঁশখালী ইকোপার্ক এলাকাটি স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না এর বিশালত্ব। তবে এই স্পটটির যথাযথ উন্নয়ন করে পর্যটন উপযোগী করা গেলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব পেত।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার বলেন, ইকোপার্কটি সত্যিই একটি সুন্দর এলাকা। এটাকে আরও বেশি পর্যটনমুখী করার জন্য বনবিভাগ ও প্রশাসন নানা ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, বাঁশখালী ইকোপার্কের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, ভবিষ্যতেও পার্কের উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।