বাতির নিচেই অন্ধকার জব্দকৃত টেপেন্টার মূল আসামি প্রান্ত পুলিশ লাইনের মালি
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া গোরস্তানের পাশ থেকে ১২৭ পিচ টেপেন্টাডল ট্যাবলেট কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করলেও মূল আসামি প্রান্ত ওরফে বাহার স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় মঙ্গলবাড়িয়া গোরস্থানের পাশ থেকে। মাদক কারবারি প্রান্ত ওরফে বাহার কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনএ মালি হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের ক্যান্টিনে কাজ করেন বলে সকলেই জানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবাড়িয়ার মুক্তারের ছেলে প্রান্ত ওরফে বাহার পুলিশ লাইনের একটি আইডি কার্ড শো করে দীর্ঘদিন এলাকায় মাদকের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। তার ব্যবসায়ের মূল ডিলার শহীদের ছেলে বারেক ও আরিফের ছেলে দিপু এরা তিনজনই এ ব্যবসায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। উক্ত তিনজনের বাড়ি মঙ্গলবাড়িয়া গোরস্থান সংলগ্ন ব্যারাকের পাশেই। পুলিশের আইডি কার্ড শো করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছিল এতদিন। কিন্তু গত বুধবার দুপুরে যখন স্থানীয় জনতার হাতে গ্রেফতার হয় তখন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়।
পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সাহেব আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১২৭ পিস টেপেনটা ট্যাবলেট পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া জেলাকে মাদকমুক্ত করার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন অথচ পুলিশ লাইনে কর্মরত একজন মালি বর্তমানে পুলিশ ক্যান্টিনে কাজ করার পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ এলাকায়। তাতে বিপথগামী হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সী সন্তানেরা। যে কারণে অভিভাবক মহল তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় দিনপাত করছেন বলে এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ সুপারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, অতি দ্রুত প্রান্ত ওরফে বাহার সহ তিনজনকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।