বারখাদা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যানের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলার বারখাদা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় আব্দুর রাজ্জাক (৫৮) ও তার ছেলে মুহিমুনুর রহমান রকি(২৬) সহ চার জন আহত হয়। আব্দুর রাজ্জাক ও রকি বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার মৃত গারিস উল্লার ছেলে। সে কুষ্টিয়ার সাবেক বারখাদা ইউনিয়ন (বর্তমানে বিলুপ্ত) পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে এই ইউনিয়ন কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে।ঘটনার পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিক টিম পৌঁছালে দেখা যায় উল্টো চিত্র। সাবেক চেয়ারম্যান এর উপর হামলাকারীরা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে তৈরি করেছে নতুন নাটক। হামলাকারীরা নিজেদের বাড়ির কাঁচের তৈরি সকল জানালার গ্লাস ভাঙ্গা সহ ঘরের ভিতরে বিছানার চাদর আসবাবপত্র উল্টিয়ে ফেলে রাখা এবং দুইটি ঘরের আলমারি খুলে উলটপালট করে রেখে দেয়। সেখানে সাংবাদিক টিম হাজির হলে হামলাকারীরা তাদেরকে ঐ চিত্র দেখিয়ে ঘটনাকে অন্যরূপে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে সাংবাদিক টিম হঠাৎ পৌঁছানোর কারণে বিষয়টি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ঘটনা সম্পর্কে আশপাশের মানুষজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে সত্য ঘটনা সামনে উঠে আসে। তখন সাংবাদিক টিম বুঝতে পারে, নতুন নাটক সাজিয়ে হামলাকারীরা ঘটনাটিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, সকালবেলা জমি মাপার উদ্দেশ্যে আমি জুগিয়া এলাকায় যায়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া কানাবিলের মোড় এলাকার মৃত মুজাম উদ্দিনের ছেলে ইঞ্জি.আজিজুল হক মানিক(৫০), ইঞ্জি.রফিকুল ইসলাম রতন(৪৫), একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে উজ্জল(২৫), সুজন(৩৫), ইস্তে(৩০) ও বাড়াদী এলাকার নাসির ড্রাইভারের ছেলে আশিক(২৫), আলামিন (২৭) সহ ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ভাই ও ভাতিজা দের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় আমার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে সহ ৪ জন আহত হয়।এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় কাউন্সিলর মো: মহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গ্যানজাম মারামারি’র বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউই যোগাযোগ করেননি। তবে বিষয়টি একাবারেই অনাঙ্খাখিত।কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িত যারা আছে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




error: Content is protected !!