রাকিব উদ্দিন লস্কর,বিশেষ প্রতিনিধি।
বিএনপি যদি সহিংসতা করে তাহলে যুবলীগও শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “জিয়া-এরশাদের ক্ষমতার উৎস ছিল ক্যান্টনমেন্ট। আর আমাদের ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। বিএনপি জনগণের কাছে ভোট চাইতে ভয় পায়, তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর।”
মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে জেলা যুবলীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে পরশ এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি এখন একটি জনবিচ্ছিন্ন দল। তারা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। দলটি মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে মোকাবেলা করা হবে।”
বিএনপি যদি সহিংসতা করে তাহলে যুবলীগও শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
পরশ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে সুশাসন কায়েম হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মন জয় করেছেন। সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।“
জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এ সময় জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।
সম্মেলনে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন। সবশেষ ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।