
আসলাম পারভেজ,হাটহাজারীঃ-
নিজ ঘর থেকে বিতাড়িত করে দেয়া সেই বৃদ্ধা মায়ের মুখে হাসি ফুটালেন হাটহাজারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুহুল আমিন।গতকাল রবিবার(১৮ অক্টোবর) সকালে কার্যালয়ে অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধা আকলিাম বেগমকে (৬৫)কে ৫ হাজার টাকা সরকারী অনুদান হাতে তুলে দেন ইউএনও রুহুল আমিন ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ আলম।
গত কয়েকদিন আগে এই সংত্রুান্ত অন লাইন পত্রিকা দৈনিক অপরাধ এ সংবাদও প্রকাশিত হয়। ছেলে ও ছেলের বউ বৃদ্ধা স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা আকলিমা বেগমকে তার নিজ জায়গা থেকে বের করে দিলে হাটহাজারী ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে নিজে অভিযোগ করলে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করে ছেলে ও বউ কতৃক বিতাড়িত সেই মহিলাকে তার নিজ ঘরে ফিরিয়ে দেন ইএনও রুহুল আমিন।সেই সাথে ছেলে ও পুত্রবধুকে সেমিপাকা ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরটি তালাবদ্ধ করে দেয়।এদিকে ওই মহিলা ঘর ফিরে পেয়ে খুশিতে আবেগ আৎফুল্লাহ হয়ে পড়েন। কিন্তু মা,তার কোন তুলানা হয়না।এত কষ্ট পেয়ে সহ্য করে আবারো তার পুত্র ওপুত্র বধুকে সেই সেমিপাকা ঘরে তুলতে মা নিজেই আবারো ছেলের জন্য সুপারিশ করেন। ছেলে ও তার বউ ভুল বুঝতে পেরে মিলেমিশে থাকবে ও বৃদ্ধা মাকে ভরন পোষণ করবে বলে নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনের কাছে অঙ্গীকারা বদ্ধ হন।সবদিক বিবেচনা করে সেই বৃদ্ধা মহিলাটিও পুত্র ও পুত্রবধুকে ক্ষমা করে দিলে তালাবদ্ধ ঘরটি খুলে দিয়ে তাদের ঘরে তুলে নেন আকলিমা বেগম। ইউএনও রুহুল আমিনের বলিষ্ট ভূমিকায় মা- ছেলের সৃষ্ট দূরত্ব আবারো মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন।
এসময় উপস্থিত মডেল থানার (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, বৃদ্ধ মা বাবা ছেলে মেয়েদের জন্য নিয়ামত। যারা মা বাাবার খেদমত করে যাবেন তারা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য স্বার্থক।যে মা বাবার উছিলায় দুনিয়া দেখেছেন সেই পিতা মাতাকে অবহেলা করা কোন প্রকার উচিৎ নয়। তাই পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কোন অভিযোগ ফেলে সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ছেলে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।তার মায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে।বৃদ্ধা মাকে বিতাড়িত সে জায়গার সেমিপাকা ঘর ফিরিয়ে দিয়েছি।কেননা জায়গাটির মালিক ওই মহিলা নিজে।সরকার তাকেই বরাদ্ধ দিয়েছে।যতদিন বেচে থাকবে ছেলে তার মায়ের ভরন পোষণ করবে বলে অঙ্গীকার করেছে।যদি আর কোন প্রকার ছেলে বা তার বউ কতৃক কোন লাঞ্চিত হয় বা কোন অভিযোগ তার মা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অসহায় বৃদ্ধা মহিলাটির হাতে সরকারের দেয়া ৫হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এসময় তার ছেলে আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। যে কোন সন্তান তার বৃদ্ধ পিতা -মাতাকে অবহেলা করবে সেটা প্রশাসন মেনে নেবেনা। তাই উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি।