বিয়ানীবাজার ব্রাম্মনগ্রামের আলীনগরের আলেচিত টিকটকার ইয়াছমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেটের বিয়ানীবাজারের আলোচিত টিকটকার ইয়াছমিন চৌধুরী একজন এন,জি ও কর্মী বলে তিনি প্রচার প্রচারনা করে আসছেন। তিনি প্রবাস জীবনে ডিভোর্সী একজন হিংস্র মহিলা। প্রবাসে বসবাস করলে ও আত্নীয়স্বজনকে সবসময় রাখনেন আতঙ্ক গ্রস্থ। সবসময় দেশে আসেন তিনি একটা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ো, উশৃংখল জীবনে আপন দুলা ভাই, চাচাতো ভাইদের সকল সম্পত্তি একা ভোগ করতে বহুদিন যাবত তিনি বহু এন জি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন, ঈদের পূর্বে দেশে এসে আপন দুলাভাইয়ের ঈদের কোরবানীর গরু গুলো জোরপূর্বক চুরি করে নিয়ে এসে লাভদেশের নামে রাহিন, মামুন সহ কয়েকজন কে নিয়ে ঈদের দিন গরু কোরবানীর নামে লাভদেশকে লাইভ করে দেখান যে এটি তাহার গরু এবং তিনি অসহায়দের সহযোগীতা করে আসছেন, গরুগুলোর জন্য কথা বললে এনামুল হক চৌধুরীর কাছে ২০০০০০/- দুই লক্ষ টাকা চাদা দাবী করেন। চাদা দিতে না পারায় দর্শন দেউরির বাসায় নিয়ে গরুর মাংস দিয়ে লাইভ করে লোকদেখানো কোরবানী হিসাবে প্রচার প্রচারনা চালান। শুধু তাই নয় ইয়াছমিন চৌধুরীর অত্যাচার থেকে পূর্বে যেমন রেহাই পাননি তাহার আপন মা, ঠিক ২০১৪ সালে দেশে আসলে একইভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরী করলে ইয়াছমিন চৌধুরীকে পুলিশসুপারের কার্যালয়ে আটকিয়ে রাখা হয়, এবং তার চাচাতো ভাই এবাদুল হক চৌধুরী তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অনেক কাকুতি মিনতি করে ছাড়িয়ে আনেন যে বিষয়টি আর পরবর্তীতে হবে না এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ইয়াছমিন চৌধুরীকে উশৃংখল বলে একটি প্রতিবেদন দিয়ে কোর্টের স্মরনাপন্ন হতে প্রস্তাব করা হয়। এনামুল হক চৌধুরী একজন সামাজিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক হওয়ায় তখন তিনি আর মামলা করেন কারন তিনি মনে করেন এবার হয়তো ইয়াছমিন চৌধুরী ভাল হয়ে যাবেন। একই ভাবে গত কয়দিন হয় দেশে এসে আবার পূর্বের ন্যায় উশৃংখল পরিবেশ তৈরী করে আলীনগরে গিয়ে গরুচুরি করেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম, আলীনগর ইউনিয়নের চ্যােয়ারম্যানসহ যে তাহার উশৃংখল বিষয় নিয়ে কথা বলে তিনি তাকে কখনো নারী নির্যাতন মামলার হুমকি,প্রেসকনফারেন্স, হিউম্যান রাইটসের মতো সংগঠনের হুমকি দিয়ে আসছেন, এলাকার সবাই সবসময় আতঙ্কগ্রস্থ আছেন। এবার ঠিকই আপন দুলাভাই, চাচাতো ভাই দের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সাধারন ডায়রী করেন, আর বার বার বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করেন যে, তাহার সাধারন ডায়রীর মাধ্যমে আসামী কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী মহল সহ এলাকার মসজিদের ইমাম সহ সবাইকে এলাকা ছাড়া করার ও হুমকি দিচ্ছেন। কখনো বা মসজিদ তালাবদ্ধ করার হুমকি দিয়ে আসছেন। আমরা স্বরেজমিনে তদন্ত করলে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে দেখা করে সরাসরি কথা বলতে চাইলে উনাকে থানায় পাওয়া যায় নি, তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানা যায়। আর আরো জানা যায় এবাদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং সেটি তদন্ত করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাদীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বোনটি উশৃঙ্খল হয়ে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করেছে মনে হচ্ছে সে মাদকাসক্ত নতুবা আগে কথা শুনতো এখন আমার সহ কারো কথা শুনতেছেনা, দিনদিন উগ্রবাদী আচরনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনতি বিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৮৫ ধারার আসামী ও সাধারন ডায়রীর বাদী ইয়াছমিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, আই এম ইয়াছমিন চৌধুরী আমাকে কেন ফোন দিছো, আমি সকলকে জেলে দিবো এমন উশৃঙ্খল কথাবার্তা শুনে নিউজ সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হয় আমাকে। সর্বদিক বিবেচনায় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের মাধ্যমে এই ইয়াছমিন চৌধুরীর এই অত্যাচারী মনোভাবকে দমন করতে সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এগিয়ে আসা জরুরী বলে মনে করেন বাদি ও ভূক্তভোগী পরিবার।



error: Content is protected !!