আবদুল্লাহ আল মামুন জেলা প্রতিনিধি যশোর
রাজনীতি মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি। যদি সৎ উদ্দেশ্য থাকে তবে সাফল্য, উন্নয়ন এবং উন্নয়ণের অগ্রগতি কোন কিছুই বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই বাস্তব উদাহরণ। দেশের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু তার জীবন বিসর্জন দিয়ে গেছেন। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, এদেশকে বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্তে তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে আওয়ামীলীগ এবং এ সোনার দেশকে ধবংস স্তুপে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশকে একটি ভিখারীর দেশে পরিণত করেছিল। ক্ষুদা-পীড়িত, দারিদ্রপূর্ণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিন-বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে ২০০৯ সালে জনগনের ভোট নিয়ে দ্বিতীয় বার সরকার গঠন করে স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নায়নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ারজন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যশোরের মণিরামপুরে ৩০ জানুয়ারী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে উপলক্ষে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসানের নৌকা মার্কার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পথসভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসান একজন শিক্ষিত, সামাজিক, ধর্মপ্রাণ সর্বোপরি চমৎকার একজন মানুষ। মাত্র ৫ বছরে তিনি এ পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। যে কারণে দেশগড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে একজন সঠিক আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে তাকে ভালবেশে মনোনয়ন দিয়ে আবারও নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন। সুতরাং সকল ভেদাভেদ ভুলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী ৩০ জানুয়ারী শনিবার শতস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে কাজী মাহমুদুল হাসানকে বিজয়ী করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরুলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমার পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, সহসভাপতি মুহাম্মদ আলী রায়হান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, যশোর শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুল।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক অজয় সরকার, যশোর জেলা আওয়ামীলীগনেতা রবি সিদ্দিকী, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভানেত্রী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরজাহান ইসলাম নীরা, জেলা আওয়ামীলীগনেতা আতিকুল ইসলাম বাবু, খলিলুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, মাসুদ রানা, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমাজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম,এম নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, আওয়ামীলীগনেত্রী হাজেরা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হুমায়ুন সুলতান শাদাব, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী মাসুমা আক্তার পলি, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লুৎফুর কবির বিজু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তরুণ আওয়ামীলীগনেতা সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টন, যুগ্ম আহবায়ক শরীফুল ইসলাম রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম আলাউদ্দীন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রীতা পাঁড়ে, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অরবিন্দু হাজরা, সাবেক ছাত্রলীগনেতা ইঞ্জি: আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান প্রমুখ।