মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধি।। সংক্রমণের শুরু থেকে শনিবার (১২ জুন) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৮ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১১। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৮৪৬ জন। বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে খুলনায় রোববার (১৩ জুন) সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ৭ দিন বলবৎ থাকবে। মহানগর ও জেলায় বিধিনিষেধ প্রতিপালনে প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে দূরপাল্লার পরিবহন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় দফায় মহানগরীসহ খুলনা জেলাতে শুক্রবার জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।বিধিনিষেধের আওতায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও হোটেলসমূহ খোলা রয়েছে। তবে মার্কেটের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থ্য রাখার কথা থাকলেও অনেক মার্কেটে তা নেই। আবার অনেক জায়গায় থাকলেও তা ব্যবহার করছেন না কেউ। দোকানসমূহে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং দুইজনের মধ্যে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এমন বিধান থাকলেও তা মানছেন না কেউ। ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রসহ সকল ধরনের যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করতে নিষেধ থাকলেও তা পালন করছেন না অনেক চালক। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বেশ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। কাঁচাবাজারে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির একেবারে তোয়াক্কা করছেন না। শহরে মানুষের ভিড় অনেকটা আগের মতই আছে। অনেককেই মাস্ক না পরতে দেখা গেছে।মহামারি করোনার হটস্পট এখন খুলনা, সংক্রমণে দেশের শীর্ষে। রোগীর চাপ কমাতে আগামী সপ্তাহের মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে একশ’ শয্যার দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।