মহিপুরে শিববাড়িয়া নদীর অংশে প্রভাবশালীরা দখল করে চালাচ্ছে লুটপাট, করছে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ ভাড়া আদায় ॥
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ মহিপুরে নদী দখল করে চলছে
অবৈধ বালু ব্যবসা ও ভাড়া আদায়। নদীতীর থেকে প্রায় ৫০ ফুট অভ্যন্তরে মাটির
বাঁধ দিয়ে বালু ভরাট করে দীর্ঘদীন ধরে অব্যাহত রয়েছে এমন দখল কার্যক্রম।
এসব দেখেও সংশ্লিষ্ট অফিসের এক কর্তা বলছেন বিশ ফুট বাদে নদীর মধ্যে
রয়েছে দখলদারদের বন্দোবস্ত ।
স্থানীয়রা বলেন, নদীর মধ্যে দখলের এমন দৃশ্য আগে কখনোই দেখেননি তারা।
মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপির পূর্ব আলীপুর ট্রলার মেরামতের পোতাশ্রয় (ডগ)
সংলগ্ন শিববাড়িয়া নদী দখল করে তোলা হয়েছে বালু ব্যবসার ঘাট। দখলকৃত নদী
ইতোমধ্যে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছেন
স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বেল্লাল কোম্পানী । তার দাবী ভূমি
বন্দোবস্ত পাওয়া মালিক পক্ষের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে নদীর ওই অংশের মালিক
এখন তিনি।
এদিকে স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ প্রভাবশালী বেল্লাল কোম্পানির ডগের পাশেই
এই নদী দখল করে ভাড়া দিয়েছেন তিনি। এরফলে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহে
বাঁধাগ্রস্থসহ মাছ ধরা ট্রলারসমূহ যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে নদীর ওই অংশ দিয়ে ২ থেকে ৩টি ট্রলারই চলাচল করতে পারছে না।
এবিষয়ে নদীর অংশ ভাড়া নেয়া হিমি পরিবহনের মালিক জাকির হোসেন’র কাছে জানতে
চাইলে তিনি মদ্যপ অবস্থায় সংবাদকর্মীদের সামনে হাজির হয়ে জানান, আই ডোন্ট
কেয়ার। এ জমি আমি বেল্লাল কোম্পানীর কাছ থেকে এক লাখ টাকায় ভাড়া নিছি।
আমারে কি ফাঁসি দেবে।
অন্যদিকে বন্দবস্ত পাওয়া মালিক থেকে ক্রয়সূত্রে নদী অংশের দাবীদার
বেল্লাল কোম্পানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা
এইখানে আইছেন ক্যা। আপনাদের কি কাগজ আছে। ফাজিল সাংবাদিকের গুষ্টি।
অপরদিকে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দখলের
সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ওরা বন্দবস্ত পেয়েছে। তবে নদীর
মধ্যে অন্তত বিশ ফুট দখল করেছে। কিভাবে নদীর মধ্যে বন্দোবস্ত পেয়েছে তা
জানি না।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল গনমাধ্যমকে জানায়,
ওখানে আমাদের মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদারসহ লোকজন গিয়েছিলো। দখলদারদের
এক দিনের মধ্যে নদীর অংশ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, দুই দিনেও দখল অবমুক্ত করা হয়নি।