মাঠের পানি আটকে মাছ চাষ, বিপাকে ধান চাষিরা 

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ

কৃষি নির্ভর জেলা হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী। এই জেলা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এ বছর সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট পচাতে বেগ পোহাতে হইছে কৃষকের। তবে সময় মতো বৃষ্টি না হলেও অসময়ের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিতে কৃষক।

তবে এই স্বস্তির বৃষ্টি যেনো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা, বিল-জালিয়া মাঠের কৃষকদের কাছে। দীর্ঘদিন আগে এই মাঠের ফসল যাতে নষ্ট না হয় অতিরিক্ত পানির কারণে, তার জন্য একটি ছোট্ট খালের মাথায় কালভার্ট করে দেওয়া হয়।
এ বছর স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল এই পানি বেড় হওয়ার কালভার্ট টি মাটির বস্তা, বাসের চাটাই ও জাল দিয়ে আটকে মাছ চাষ করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিল-জালিয়া মাঠের মাঝখানে শুধু পানি দেখা যাচ্ছে। আর রাস্তার নিচ দিয়ে দেওয়া কালভার্ট টির আগের অংশে মাটির বস্তা, বাসের চাটাই ও জাল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিক পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন কৃষক বলেন, আমার চাষ শুরু ওই মাঠেই। আমি কিছুদিন আগে আমার জমিতে ধান লাগাইছি কিন্তু পানি আটকে রাখার কারণে আমার সব ধান পানির নিয়ে পরে গেছে। সব ধান নষ্ট হয়ে গেলো। কে পানি আটকে রাখছে এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন ভাই নাম বললে আমার যেমন বিপদ তেমনি আপনার ও হবে। আমি জানেন না আলী জামান বাহিনীর কথা। ওই আলী জামান বাহিনীর লোকজন তার নিদ্দেশে মাছ চাষ করছে। কেউ কিছু বলে সাহস পায় না।
মিলন নামের এক কৃষক বলেন, পানি আটকে না রাখলে আমার জমিতে ধান লাগাতে পারতাম। কিছু পানি বেশি থাকায় মনে হয় আর ধান লাগানো যাবে না।
সহিদুল মন্ডল বলেন, পানি আটকে রাখার জন্য যারা মাছ চাষ করছে তাদের লাভ হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দেশের যে পরিস্থিতি তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদনের বিকল্প নাই। তাই খুব দ্রুত কালভার্টের পানি চলাচলের ব্যবস্থা সচল করে দিয়ে কৃষক কে বাঁচতে হবে।
সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহারের সাথে মাঠের পানি আটকে রাখার বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায় নাই। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এর মাধ্যমে জানাযায় তিনি ঢাকাতে অবস্থান করছে।



error: Content is protected !!