লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
রিকশা চালক মো. সুমন। অন্যের জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী আর
সন্তানদের নিয়ে জীবনযাপন করতেন তিনি। তবে সোমবার দুপুরে
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে সেই মাথা
গোঁজার ঠাঁইটুকু। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুমন।
মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে এখন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে
আশ্রয় নিয়েছেন ছোট ভাইয়ের ঘরে।
জানা যায়, ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুগন্ধা
সড়কের পাশে অন্যের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন রিকশা
চালক মো. সুমন। তিনি ওই এলাকার নূরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে।
রিকশা চালক সুমন বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে আমার স্ত্রী কল
করে জানান ঘরে আগুন লেগেছে। এর ১০ মিনিটের মধ্যে এসে দেখি
পুরো ঘরটি পুড়ে গেছে। এতে করে ঘরে থাকা অন্তত ৩ লক্ষ টাকার
মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছোট ভাইকে দেওয়ার জন্য
ব্যাংক থেকে তোলে ঘরে রাখা নগদ দেড় লক্ষ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে
গেছে। রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালিয়ে ঘরটি
নির্মাণ করেছি। জুগিয়েছি ঘরের বিভিন্ন মালামাল। এখন
নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেছে।
সুমন আরো বলেন, এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে
নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি
ছোট ভাইয়ের ঘরে। তবে সেখানে আর কতদিন থাকতে পারবো। এই
মুহূর্তে নতুন করে ঘর তোলাও সম্ভব না। তাই সরকারের কাছে
দাবি করছি; নতুন করে একটি ঘর তুলতে আমাকে সর্বোচ্চ
সহযোগিতা করার।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
সোহাগ ঘোষ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে
যোগাযোগ করলে, তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের
ব্যবস্থা করা হবে।