আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলায় একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানা পুলিশ।
লিখিত অভিযোগ ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সোনাইলতলা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল্লাহর সাথে একই এলাকার ফরিদ শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও চিংড়ি ঘের সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জের ধরেই বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদ শেখ তার ৪/৫ সহযোগী নিয়ে আব্দুল্লাহর চিংড়ি ঘেরে হামলা ও লুটপাট চালায়।
ঘেরটিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ ঘেরে চৌকিদার হাসমাউলের ধরা ১৫ কেজি ও জাল টেনে এবং চারো তুলে ৩০ কেজি বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটে নেয় তারা৷ এতে বাঁধা দিতে গেলে ঘেরে থাকা হাসমাউল চৌকিদারকে (২২) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে ফরিদ গং। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ফরিদগং দ্রুত সটকে পড়েন। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় রাতেই হাসমাউলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসমাউলের মা এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে ফরিদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এজাহারের বাদী ও আহত হাসমাউলের মা সাবিনা বেগম (৩৫) বলেন, ফরিদ শেখসহ তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘেরে হামলা, লুটপাট ও আমার ছেলেকে মারপিট করে আহত করেছে। আমার ছেলের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া সারা শরীরে মারাত্মক জখম হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর আব্দুল্লাহ বলেন, ফরিদ গং এর আগেও আমার এই ঘেরটি দখলের চেষ্টায় হামলা ও লুটপাট চালায়। এবং লোকজনকে কুপিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন লোকজনের জমিজমা ও ঘের দখলসহ, লুটপাট ও নারী পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ফরিদ গংয়ের বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, ফরিদ গংয়ের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি এ এলাকায় একটি খুনের ঘটনাও ঘটেছে। মুলত ফরিদ গংয়ের অত্যাচারে বকুলতলা গ্রামের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে ফরিদ শেখের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বকুলতলার ঘটনার খবর শুনেছি। এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।