আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের খড়মা এলাকার মৎস্য ঘেরের বাঁধকেটে ২লক্ষ টাকার মাছ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন মোঃ আলতাফ হাওলাদার।
অভিযোগে জনাগেছে, মোংলায় সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের পুত্র মোঃ আলতাফ হাওলাদার ৩৫) দীর্ঘ এক বছর যাবৎ শান্তিপূর্নভাবে ঘেরে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু এ বছর প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত খোরসেদ আলী শিকারির ছেলে মোঃ মতিয়ার রহমান শিকারি (৬৮) সহ তার সহযোগীরা জমি তাদের প্রচার দিয়ে আলতাফ হাওলাদারকে জমি ছেড়েদিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছিল। এতে কাজ না হওয়ায় একই গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান শিকারির দুই ছেলে মোঃ ফরিদ শিকারি (৪৭) ও মোঃ ফিরোজ শিকারি (৪৫), মোঃ ফিরোজ শিকারির ছেলে মোঃ রুবেল শিকারি (২৪), মোঃ জলিল পালয়ানের ছেলে মোঃ দুখু পালয়ান (২৬), মোঃ নুরুজ্জামান জিহাদীর ছেলে মোঃ মারুফ জিহাদী (২৫), মোঃ হারুন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রকিবুল হাওলাদার (২৩) সহ ৪/৫ জন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ১১:৩০ মিঃ সুন্দরবন ইউনিয়নের খড়মা কাটাখালী গ্রামের ০৪ নং ওয়ার্ডের তরুন দিঘির পাশে ১০ বিঘার মৎস ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে চৌকিদার মোঃ মজিবর জোমাদ্দারের ছেলে মোঃ দুলাল জোমাদ্দার (২৬) কে মোঃ মতিয়ার রহমান শিকারির হুকুমে প্রকাশ্য জীবন নাশেন হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে বিবাদিরা তাকে মারার জন্য ধাওয়া করলে প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায় চৌকিদার। পালিয়ে যাওয়ার সুযোগে আমার ঘের থেকে বিভিন্ন প্রকার আনুমানিক দুই লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং জোর পূর্বকভাবে আমার ঘেরের পশ্চিম প্বার্শের উত্তর মাধার ভেড়ি কেটে প্রায় বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। ফোনের মাধ্যমে দুলাল আমায় জানালে তাৎক্ষণিক আমি ঘেরের কাছে গিয়ে ঘেরের ভেড়ি কাটা দেখলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানাই।
আলতাফ হাওলাদার তার অভিযোগে আরো বলেন বিবাদীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি ও ঘেরের জমি নিয়ে শত্রুতা থাকায় তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকিসহ আমার ক্ষতি করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
এ বিষয় মোঃ মতিয়ার রহমান শিকারির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা আমাদের বাপ দাদাদের পৈতৃক সম্পত্তি। আমরা সরকারের সাথে মামলা করে টিকে আছি। ঘের কাটার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,হ্যা আমরা পকেট ঘেরের জন্য এগুলো করে থাকি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কোন প্রকার ঝগড়া ফ্যাসাদ যাতে না হয় এজন্য ওখানে পুলিশ সদস্য পাঠাইছি।