আলী আজীম,মোংলাঃ
সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভার দ্রুততম সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে ৫ অক্টোবর সোমবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এবং সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ মোংলা বাগেরহাটের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মোংলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজন’র সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র সাধারণ সম্পাদ শরীফ জামিল, সুজন’র কেন্দ্রিয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার, হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, সুজন’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ ও কৃষক নেতা মানবেন্দ্র দেব।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাবেক মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ মোংলার সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল মন্ডল, মোংলা পৌর বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম ব্যাপারী, মোংলা পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন, মোংলা বন্দরের শ্রমিক নেতা নুর উদ্দিন আল মাসুদ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মোংলা পোর্ট পৌরসভার কোন নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমান পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকা আলীর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। এর ফলে নেতৃত্ব’র বিকাশ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বক্তারা সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুততম সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানান। বক্তারা বর্তমান পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকার আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন মেকানিজম করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জনগনের রায় ছাড়া জগদ্দল পাথরের মতো চেয়ার আকড়ে থাকা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। বক্তারা এই মুহুর্তে পৌর মেয়রের পদত্যাগ দাবী করে দ্রুততম সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন দাবী করেন।
বক্তারা আরো বলেন ইতিমধ্যে মহামান্য হাইকোর্ট সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা খারিজ করে দিয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে মোংলা পৌর নির্বাচন আটকে আছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি মোংলা পোর্ট পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়।