মৎসবন্দর আলীপুরে বাজার কমিটির দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে ভাসমান দোকান-পাট ॥
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ কলাাপাড়ায় মৎস্যবন্দর আলীপুর
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির অব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠছে যত্রতত্র একাধিক ভাষমান
দোকান পাট। একটি কু-চক্রিমহলের যোগসাজশে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের
মাধ্যমে এসব ভাসমান দোকান-পাট গড়ে ওঠছে এমন অভিযোগ অনেকের।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, অনেক ভাসমান দোকান্দার রাস্তার উপর তৈরীকৃত
চকি ভাড়া নিয়ে তার পরে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কয়েকজন ভাসমান
দোকানীদের সাথে কথা বললে জানা যায়, তারা এক একটি চকির বিনিময় বছরে ১০
থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছে। প্রভাবশালী একটি মহলের যোগসাজসে বাজারের
পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নষ্ট করে নিজেদের আখের গোছাতে রাস্তার উপর এসব যত্রতত্র
ভাসমান দোকান বসিয়েছেন। তবে এ সুযোগ হাতছাড়া করেননী বাজার ইজারাদার
কর্তৃপক্ষ। কেঁচো খুজতে সাপ বেড়িয়ে আসার মত, ইজারাদারের লোকজন টাকার লোভে
ফল বিক্রেতাদের মধ্যে বেশ কিছু দোকান আইনের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের
খেয়াল-খুশিমতো একেবারে রাস্তার উপরে অপরিকল্পিতভাবে এভাবে ভাসমান ফলের
দোকান বসিয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি দোকান বাবদ ৩০ টাকা করে প্রতি দোকান
থেকে দৈনিক পায় তিন থেকে চার’শত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভাসমান দোকানদার রফিক চাকলাদার এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি ভাসমান দোকান
ভাড়া বাবদ পজেশন অনুযায়ী ১০/১২হাজার টাকা ইজারাদারদের প্রতিনিধিদের হাতে
দেওয়া হচ্ছে। আরেক ভাসমান দোকানদার সাজ্জাদ মুন্সী বলেন, করোনা মহামারিতে
কোন উপায়ন্তর না পেয়ে রাস্তার পাশে বসে ছোট্ট চাপড়া বসিয়ে কোনক্রমে
ধার-দেনা করে ফলের দোকান দিয়েছি, ছোট্ট চাপড়ার এ দোকান বাবদ বাজার
ইজারাদারের এক প্রতিনিধিকে ১২ হাজার টাকা টাকা দিয়েছি।
কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক বাজার মৎস্য বন্দর
আলীপুর-মহিপুর হওয়ায় এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক নিত্য প্রয়োজনীয়
দ্রব্যাদী ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আসেন এখানে। বাজার কমিটির অব্যবস্থাপনার
কারণে গড়ে ওঠা যত্রতত্র ভাসমান দোকাান পাটের ফলে পড়তে হয় বিপাকে। একদিকে
বেদখল হচ্ছে বাজারের জমি অপর দিকে রাস্তার উপর যত্রতত্র দোকান গড়ে ওঠায়
গাড়ি চলাচলে বিঘিœত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এছাড়া আলীপুর চৌ-রাস্তায় বর্তমানে যেভাবে গাড়ির ভীর লক্ষ্য করা যায়, তাতে
শৃঙ্খলার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন। অথচ এতো ভীড়ের মধ্যেও
একেবারে রাস্তার উপরে একটি ফলের দোকান রাস্তা আটকিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে
আসছে। এ যেনো রাম-রাজত্বের মতো।
এব্যাপারে বাজার কমিটির সেক্রেটারী মো: সোহরাফ হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন,
বাজারে কিছু ভাসমান দোকান রয়েছে তারা কোন অপশক্তির সাথে যোগাযোগ করে
আইনের তোয়াক্কা না করে এমন যত্রতত্রভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে।
বাজারের স্বার্থে এসব দোকান অপসারণ করা দরকার।
এবিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আনছার
উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, বাজারের জমি দাতারা এখন পর্যন্ত বাজারের
জমি বুঝ দেয়নী, যেকারণে আমরা শৃঙ্খলা আনতে পারিনী, তবে চকি ভাড়া দেয়া
একটা অপরাধ এটা কারা করতেছে তা আমি জানি না, তবে চৌ-রাস্তায় অপরিকল্পিত
দোকান অপসারণের জন্য একাধীকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু অপসারণ করানোর
কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার গড়ে ওঠে এসব দোকান-পাট।