রানার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় দলীয় কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, দৈনিক পুনরুত্থান, তাজা খবরসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত “নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা রানাকে হত্যার পরিকল্পনা ষড়যন্ত্র ফঁাস” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উল্লেখিত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে তা আনোয়ার হোসেন রানার নোংরা রাজনীতির অংশ। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রাথর্ী হয়েছি। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকমর্ীরা আমার প্রতি আস্থাশীল হওয়ায় তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এ কারণে কিছুদিন থেকে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে আমার নামে তারা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্বপালন করে আসছি। ইতোপূর্বে তারা প্রকাশ্যে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকমর্ীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। এমন জঘন্য আচরণ এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ পরিবারের লোকজন কখনোই মেনে নিতে পারেনি। ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমার নামে মিথ্যাচার করেছে। এমনকি আমার নামে জেলা আওয়ামী লীগের নিকট অব্যাহতির সুপারিশ করেছিলো তারা। যা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমলে নেয়নি। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সুসংগঠিত করতে গিয়ে আমার ছোট ভাই জীবন দিয়েছে। ২০১৩ সালে ৩রা মার্চ সাঈদীকে চঁাদে দেখার গুজবে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোকজন আমার বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং লুটপাট চালায়। আওয়ামী লীগের সাথে আমার রক্ত কখনো বেঈমানি করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সাথে হাত মিলাতে পারে না। যারা অন্যদল থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তারাই এরকম জঘন্য কাজ করতে পারে। আনোয়ার হোসেন রানাকে কেবা কাহারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তা আমার জানার কথা নয়। পারিবারিকভাবে তার নামে শতকোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। সে মামলা থেকে রক্ষা পেতে আমাকে জড়িয়ে তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টার অংশহিসেবে এই প্রাণনাশের হুমকির নাটক সাজিয়েছে বলে মনে হয়। বিএনপি দলীয় এমপি মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্যদের সাথে আমার নাম জড়িয়ে আমাকে তাদের সঙ্গী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তারা। তাই সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চন্দ্র মহন্ত, আওয়ামী লীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম রিয়াল, আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ প্রমুখ।