লালমোহনে উন্নয়ন সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মাইক্রোবাস- মোটরসাইকেল ভাঙচুর, আহত-২৫

প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৩

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার
ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী। আহতদের
মধ্যে মমিন নামে এ কর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো
হয়েছে। বাকিরা লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা
নিয়েছেন। হামলার সময় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের বহন
করা একটি মাইক্রোবাসসহ অন্তত ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা
হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার
ও চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজার এলাকায় পৃথক সময়ে এ হামলার ঘটনা
ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুল হাসান
রিমন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ
সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাট
বাজারে আমাদের পূর্বনির্ধারিত উন্নয়ন সমাবেশ ছিল। এ সময়
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নসুর
নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা
চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুবলীগের এই নেতা আরো জানান, পরে সেখান থেকে আমরা ফিরে আসার
সময় চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের
পূর্বনির্ধারিত উন্নয়ন সমাবেশে হামলা চালায় ভোলা-৩ আসন থেকে
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোয়নপ্রত্যাশী আবু নোমান হাওলাদারের
অনুসারী ও সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন হাওলাদার এবং বহিরাগত
সন্ত্রাসীরা। সেখানে আমাদের লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া
আমাদের অবরুদ্ধ করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। তখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল।
তবে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের সামনেই আমাদের নেতাকর্মীদের
মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। হাজিরহাট বাজার ও হরিগঞ্জ
বাজারের ঘটনায় আমাদের ১৩টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস
ভাঙচুর করা হয়। এই দুই ঘটনায় আমাদের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত
হন।
অভিযোগের ব্যাপারে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
নসুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে হোসেন
হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বহিরাগত লোকজন প্রবেশ করছে। এতে
ক্ষিপ্ত হয়ে আবু নোমান হাওলাদারের স্থানীয় সমর্থকরা তাদের প্রতিহত করার

চেষ্টা করে। এ সময় ওইসব বহিরাগত লোকের হামলায় আমাদেরও ৪ জন আহত
হন। আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না, তবে বিষয়টি শুনেছি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল
আলম জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমরা
যাওয়ার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো
লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি। অভিযোগ বা মামলা হলে আমরা
প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




error: Content is protected !!