লালমোহনে নগদ ৭ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকা নিয়ে নাতীর সাথে নানী উধাও।। এলাকায় তোলপাড়
লালমোহন (ভোলা)প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে (প্রবাসী ইয়াছিনের স্ত্রী) নগদ ৭ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকা নিয়ে নাতীর সাথে নানী উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
এ ঘটনায় ইয়াছিনের বাবা আঃ সহিদ বাদী হয়ে সাজনা বেগম ও নাজমুল হাসানকে বিবাদী করে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৭ বছর পুর্বে চরভূতা ৫ নং ওয়ার্ডের ঝান্টুর মেয়ে মোসাম্মদ সাজনা বেগমের সাথে লালমোহন সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আঃ সহিদের ছেলে প্রবাসী ইয়াছিনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়েরপর থেকে সাজনা বেগম বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করতে থাকে। এনিয়ে কয়েক দফা সালিশও হয়। গত ২২ মে দুপুরে সাজনা বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে সকল মালামাল ও বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো ব্যাংকে থাকা নগদ ৭ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকাসহ নাতী নাজমু হাসানের সাথে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, পাশ্ববর্তী ইয়াছিনের ভাতিজি জামাই কবিরের ঘরে বেশি সময় আসাযাওয়া করতো সাজনা বেগম। সেখানে আসাযাওয়ার সুবাদে কবিরের ছেলে (সম্পর্কে নাতী) নাজমুল হাসানের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সাজনা বেগমের। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন সাজনা বেগম নাতী নাজমুল হাসানের সাথে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
এদিকে ওমান থেকে ফোনে প্রবাসী ইয়াছিন জানান, তার বিয়েরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাদ দিয়ে অনেক টাকা নিয়েছে তার স্ত্রী সাজনা বেগম। এবং আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করতো। তারপর থেকে ওর দিকে তাকিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমি আমার টাকা দিয়ে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি স্ত্রী সাজনা বেগমের নামে। এসব সম্পত্তি, স্বার্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পরপুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে আমার সম্মানহানি করেছে সাজনা বেগম।
প্রবাসে থেকে কষ্টের জীবনের কথা তুলেধরে ইয়াছিন বলেন, আমরা যারা বিদেশ আসছি। তারা কতো কষ্ট করে টাকা উপার্জন করি সেটা যারা দেশে থাকে তারা বুঝে না। অনেক কষ্টের টাকা বাবা-মায়ের জন্য পাইঠাইতে পারি না। শুধু বউয়ের মূখেরদিকে তাকিয়ে। আর সেই বউরা প্রবাসী স্বামীদের টাকা পয়সা ও স্বার্ণালংকার নিয়ে পর পুরুষের সাথে উধাও হয়ে যায়। সাজনা বেগমের কাছে গচ্ছিত সব টাকা, স্বার্ণালংকার ও ক্রয়কৃত জমি ফেরত চেয়েছেন ইয়াছিন।
ইয়াছিন আরও বলেন, এর পুর্বে সাজনা বেগমের বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনার বিচার করেছেন, লালমোহন পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জসিম ফরাজী।
ইয়াছিন তার স্ত্রী সাজনা বেগম ও নাতী নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরেণ। তাদের উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন প্রবাসী ইয়াছিন।
এদিকে নাজমুল হাসানের মা জোছনা বেগম জানান, আমার চাচী সাজনা বেগম আমাদের ঘরে থাকতেন। আমার ঘরে থেকে যে আমার এতো বড় সর্বনাশ করবে বুঝতে পারিনি। আগে বুঝতে পারলে সাজনা বেগমকে আমার ঘরে ডুকতেই দিতাম না।