লালমোহনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় জাটকা রক্ষার জন্য মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকায়সহ দেশের ৫টি অঞ্চলে এ কর্মসূচি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলার লালমোহনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার ইলিশ অভয়াশ্রমে সকল ধরনের মাছ ধরা ১ মার্চ- ৩০ এপ্রিল ২০২১ ইং পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ । এ সময় উপরোক্ত এলাকার নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানা যায়। নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস তালিকাভুক্ত জেলেদের খাদ্য সহায়ত দেয় সরকার। তবুও অনেক জেলে নিষিদ্ধ সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে মাছ ধরতে যায়। জেলেদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে প্রকৃত জেলেদের বাইরে, তাদের জন্য আসা সহায়তা কার্ড অন্যান্য পেশার মানুষদের দেওয়া হচ্ছে যারা মাছ ধরার কাজে জড়িত নয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার পেছনে এটি একটি কারণ বলে প্রকৃত জেলেদের দাবী। ভোলার লালমোহন উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের জেলে রবউল হক, কামাল, আলাউদ্দিন এবং তেতুলিয়া নদীর পাড়ের জেলে করিব, মাহে আলম, জমসেদ জানান নিষিদ্ধ সময়ে যেই পরিমাণ চাল দেওয়া হয়, তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কঠিন এবং যথাসময়ে চাল পাওয়া যায়না। তাই নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের চালের পাশাপাশি বিকল্প কাজের ব্যবস্থা হলে ভালো হয়ে।লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান লালমোহনে প্রায় ১৪৫২৩ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এসব জেলেদেরকে বিতরন করার জন্য সরকার থেকে বরাদ্ধকৃত চাল অলরেডি ভোলাতে চলে আসছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লালমোহন চলে আসবে। চাল আসার সাথে সাথেই চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিতরন করা হবে। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা মাছ যেন না ধরে তার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান ভোলা জেলায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে। এসব জেলেদের মধ্য থেকে ৭৮ হাজার জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এই ৪ মাস চাল বিতরন করা হবে। ইতোমধ্যে ২ মাসের চাল সকল উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার না করে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা করা হয়েছে। ভোলা জেলায় জেলেদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্ধ কম হওয়ায় সকল জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়।