ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ একাধিক রোগের ক্ষত বা আক্রান্ত কোষ সারাতে প্রকৃত অর্থেই নিরাময়কারী ওষুধ পেয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। প্লাজমা ব্যবহার করে এক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন তারা। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ধ্বংসেও কার্যকর প্লাজমা। বিজ্ঞানীরা তাই আক্ষরিক অর্থেই চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন বিপ্লবের আশা করছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্লাজমা আসলে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাচ। এটি রোগের নিরাময়ে সহায়তা করার ক্ষমতা রাখে। সূর্য ও বাজ পড়ার সময় প্রকৃতির মাঝেও প্লাজমার দেখা পাওয়া যায়। তবে এর তাপমাত্রা খুবই বেশি থাকে। গবেষকরা সফলভাবে শীতল প্লাজমা তৈরি করেছেন। ফলে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে।
বায়োক্যামিস্ট ড. কাই মাসুয়র বলেন, যেন কল্পবিজ্ঞান বাস্তব হয়ে উঠেছে। আমরা এমন সব রোগীর চিকিৎসা করি, মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর যাদের ক্ষত সারেনি। প্লাজমা তৈরি করতে পদার্থবিদদের আর্গন গ্যাস ভরা একটি বোতল, ইলেকট্রোডসহ কিছু তার, বিদ্যুৎ ও একটি আধারের প্রয়োজন হয়।
আধারের মধ্যে ভোল্টেজ ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে গ্যাসের নিউট্রাল কণা রিচার্জ করা হয়। তখন আচমকা প্লাজমা সৃষ্টি হয়। পদার্থবিদ ক্লাউস-টিটার ভেল্টমান বলেন, এটি এমন এক গ্যাস, যার মধ্যে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে।
কোষের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, প্লাজমা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাকের মতো অনেক রোগের প্যাথোজেন মেরে ফেলে। ডয়চে ভেলে।