শায়েস্তাগঞ্জে একেই ঋষি পরিবারের ১০ বছরে তিনজনকে হত্যা, সন্ত্রাসী সুজন কে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২০

মাহবুবুর রহমান,রিমন।।
শাহজি বাজার সুতাং “ঋষি পরিবারের” উপর সন্ত্রাসী সুজনের অত্যাচারের মাত্রা আরো ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করছিল। গতকাল দৈনিক অপরাধে সংবাদ প্রকাশের পর তার লাটিয়াল বাহিনী নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল রবিদাস পাড়ায় যে কোন সময় ঋষি পরিবারের আরো একটি প্রাণ হানীর সম্ভাবনা হয়েছিল। সন্ত্রাসী সুজন বলছে কারো কাছে কিছু বললে অর্জুন ও সুখিয়ার মত পরিনতি ভোগ করতে হবে। একেই ঋষি পরিবারের ১০ বছরে তিনজনকে হত্যা করা হয়। গত ২০০৭ সালে অর্জুন রবিদাস কে ছুরি মেরে হত্যা করে এক সন্ত্রাসী, ২০১০ সালে সূখিয়ার স্বামী মনি লাল রবিদাস কে রাত ভর পিটিয়ে হত্যা করা হয়, ২০১৭ সালের ১০ই জুনে একেই সন্ত্রাসীরা সূখিয়া রবিদাস কে তার ঘর থেকে জুর করে উঠিয়ে নিয়ে তারভর দল বেধে ধর্ষন করে পিটিয়ে হত্যা করে শাহজি বাজারের মধ্যে খোলা বাছাই ঘরে ফেলে দেয়। ইদানিং রাত ৯টার পর রবিদাস পাড়ার নারী পূরুষরা আর ঘরে থাকতে পারত না তাদের অত্যাচারে রাতটুকু বাজারের পাহারাদার অথবা লোকালয়ে কোন স্তানে থাকতে হত। রাতে সুজন তাদের অস্র নিয়ে খোজে মারার জন্য। দিন দিন তাদের উপড় শারিরিক, যৌন ও মানুষিক অত্যাচার শুরু করছিল চানপুর গ্রামের সন্ত্রাসী সুজন, প্রতিরাতেই তাদের নেতৃত্বে রবিদাস পাড়ার যুবতি মেয়েদের জুর করে উটিয়ে রাতভর ধর্ষন করার চেষ্টা করে সুজনের দল। ২০১২ সালে রবিদাস পরিবারের নির্মমতা দেখে ঐ সময় দৈনিক প্রতিদিনের বাণীতে একাদিক সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রিন্ট ও টিভি সাংবাদিক সহ একদল মানবাদিকার কর্মীর। তাহমিনা বেগম গিনি, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাবেক প্রতিষ্টাতা সভাপতি মনছুর উদ্দিন আহম্মেদ ইকবাল, দৈনিক খোয়াইর সম্পাদক হারুনূর রশিদ, শাকিল চৌধুরী সহ সাংবাদিকরা সরেজিমনে আসলে ঘঠনার সত্যতা পান এব্যাপারে তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুর রহমান, শায়েস্থাগঞ্জ থানার অফিচার্জ ইনচার্জ আজিজুর রহনানের নেতৃত্বে অভীযান শুরু হলে গ্রেফতার হয় সুজন ও সিপন কিছু দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে আবার শুরু হয় রবিদাস পাড়ায় অত্যাচার, তাদের অত্যাচারে মাত্রা ও বর্বরতা দেখে অতিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ সচেতন মহলের দাবীতে গত কাল মাননীয়, পুলিশ সুপারের নির্দেশে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এস আই আব্দুল মুকিত চৌধুরীর নেতৃত্বে রাত ৯টায় এক গোফন অভীযানের ভিত্তিতে চানপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্ত্রাসী সুজন গ্রেফতারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ঋষি পরিবারটি, তাদের দাবী আর ঘর থেকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে থাকতে ছাইনা, তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হোক যেন আর কারো জিবন এমন পরিস্তিতি না হয়। আইনের ফাকে আবারো যেন বেরিয়ে না আসে।
উল্লেখ্যঃ সন্ত্রাসী সুজন রবিদাসের ঘরে ১০টি ছাগল জুর করে পালন করে, এই ছাগল গুলি বিভিন্ন এলাকা থেকে সে চুরি করে এখানে মজুদ করে রাখত, সুজনের দলবলরা এই ছাগল গুলি নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিচ্ছে এব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করছে রবিদাস পরিবার।




error: Content is protected !!