শায়েস্তাগঞ্জে পৌরসভায় কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

মোঃজামাল হোসেন লিটন,হবিগন্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বকেয়া বেতন দেওয়ার দাবিতে এবার মুখোমুখি অবস্থানে মেয়র ছালেক মিয়া ও পৌর কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না দেওয়া, বারবার মেয়রের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সুরাহা না হওয়া এবং মেয়রের কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেন পৌর কর্মচারীরা।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতী পালন করেন তারা। এসময় তারা ন্যায্য অধিকার না পেলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারিও দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সুশীল বসাক জানান, পৌরসভার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারীকে ৭ থেকে ৮ মাস ধরে বেতনসহ কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। বারবার মেয়রের কাছে বকেয়া বেতনের জন্য বলা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করাসহ অশ্নীল ভাষায় গালাগাল করেন তিনি। এ ছাড়াও মেয়রের পছন্দের কর্মচারীরা ঠিকই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন না পেয়ে কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনিও কোনো সুরাহা করতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়েই কর্মবিরতি পালন করতে হয়েছে। ন্যায্য অধিকার আদায়ে মাঠে থাকার কথাও বলেন তিনি।

পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া জানান, পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। এই মুহূর্তে শুধু আমার পৌরসভা নয়, সারা বাংলাদেশে ২ শতাধিক পৌরসভায় অনেক কর্মচারীর বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় উত্তেজিত হয়ে অফিস ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মেয়র আরও বলেন, যারা আন্দোলন করছেন তারা আগের মেয়রের সময় চাকরি নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কর্মস্থলে ঠিকমতো উপস্থিত হন না। আবার কেউ কেউ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়েছেন। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী লোকদের ইশারায় তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।




error: Content is protected !!