শায়েস্তাগঞ্জে ষষ্ঠ তম জনশুমারি ও গৃহগণনাকারী প্রকল্পের দ্বিতীয় ব্যাচ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকেঃ সারাদেশের
ন্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ তম জনশুমারি ও গৃহগণনা-
২০২২ প্রকল্পের ৭৯ জন গৃহগণনাকারী এবং ১৫ জন সুপার ভাইজারদের
দ্বিতীয় ব্যাচ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জুন থেকে ৭
জুন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ ব্যাচ সমাপ্ত হয়। ৯ জুন থেকে দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু
১২ জুন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের এ কার্যক্রম চলবে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন)
সকাল ১১ টায় ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান অফিসের যৌথ
আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম এর
সভাপতিত্বে ও শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ
আবিদুর রহমান এর পরিচালনায় শুমারী ও গৃহগণনা দ্বিতীয় ব্যাচের
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা
পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ তাূকদার ইকবাল। বিশেষ
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ
গাজিউর রহমান ইমরান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মুক্তা
আক্তার, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বুলবুল খাঁন। এ
সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা রিপোর্টাস ক্লাবের
সভাপতি মোঃ মামুন চৌধুরী, উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের
সভাপকি সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর, শায়েস্তাগঞ্জ ইউপি মেম্বার মোঃ
শামিম আহমেদ, জনশুমারি ও গৃহগণনাকারীর উপজেলা সমন্বয়কারী সাবের
হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণকারী উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের
জোনাল অফিসার মোঃ ছালেহ উদ্দিন, আইটি সুপারভাইজার নিয়াজুর
রহমান পাশা প্রমূখ। প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে
সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দশ বছর পর্যায় বৃত্তি অনুসরণ পূর্বক
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত পক্ষ কাল
ব্যাপী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক দেশে ব্যাপী জনশুমারি ও
গৃহগণনা পরিচালিত হবে। তাই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় তিনটি
ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার জন্য ৭৯ জন গণনাকারী, ১৫ জন সুপার
ভাইজার ও ২ জন জোনাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ২০২০ সালে এই
সকল জনবলকে ৩০ মে থেকে ধাপে ধাপে ১২ জুন পর্যন্ত ডিজিটাল
পদ্ধতিতে প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে। এই জনশুমারীর মাধ্যমে সঠিক
জনসংখ্যা পাশাপাশি শিক্ষার হার, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, তথ্য
প্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়া, পেশা, গৃহ ও ভূমিহীনদের সংখ্যা,
স্যানিটাইজেশনের উন্নতি চিত্র তুলে ধরতে হবে। ফলে শুমারীর মাধ্যমে স্ব
স্ব এলাকার সামগ্রিক বাজেট ও সার্বিক উন্নয়ন করতে সঠিক তথ্য
দেশের স্বার্থে প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, পরিসংখ্যান আইন-২০১৩
অনুযায়ী সরকারি জরিপ ও শুমারী কাজে সকলেই তথ্য দিতে বাধ্য। জন শুমারী
ও গৃহগণনার প্রচার-প্রচারণার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ
জন্য উপজেলার হাট-বাজার এবং পাড়া-মহল্লায় মাইকিং, লিফলেট
সঠিকভাবে বিতরণ সহ যাবতীয় প্রচারণা করতে হবে।