শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তাঘাট গুলোর দশা বেহাল

প্রকাশিত: ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০

গোলাম সারোয়ার পলাশ:শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলোর বেহাল দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং বাজার, সুরাবই লালচান সড়ক, উজান শৈলজুড়ার রাস্তাগুলোর বেশ নাজুক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, সুতাং বাজারের ভিতরের রাস্তাগুলোতে বৃষ্টি হলেই অনেকে মাছ ধরা শুরু করেন।বিভিন্ন গর্তে খানাকোন্দর হয়ে পানি জমাট বেধে থাকে। হাটবাজার করতে গিয়ে অনেককেই পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এরকম খবর নতুন কিছু নয়।

সুতাং- লালচাঁন সড়ক

এদিকে নুরপুর ইউপির অন্তর্ভুক্ত সুতাং বাজার থেকে পুরাসুন্দা,লাদিয়া,কাজীরগাঁও,নিশাপট,শায়েস্তাগঞ্জ, লালচাঁন, এই সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্ত ও বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ও স্থানে পানি জমে থাকে। যার জন্য যাএীবাহী সিএনজি, টমটম, অটোরিক্সা, টেলা গাড়ি,ও ছোট বড় ও দূর্ঘটনার স্বীকার হয়।

ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের শৈলজুড়া গ্রামের জামে মসজিদ থেকে মাদরাসার গেট পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা জমে যায়।

অন্যদিকে ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের শৈলজুড়া গ্রামের জামে মসজিদ থেকে মাদ্রাসার গেইট পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। বেহাল দশায় পরিণত হওয়া যাতায়াতের এ রাস্তাটি দুই হাজার মানুষের চলাচলের অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টিতেই এখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কাদাযুক্ত এই রাস্তায় সিএনজি, মটরসাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, বাইসাইকেল ইত্যাদি সহ প্রাণ কোম্পানির প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষাকালের ৩/৪ মাস এই রাস্তা যাতায়াতের একদমই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার ফলে চিকিৎসা, ব্যবসা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষায় যাতায়াতের জন্য মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না করায় এই কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে তা হাবড়ে (গভীর কাদা) পরিণত হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। বর্তমানে এই রাস্তায় স্থানভেদে ২থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা আছে। কোন গাড়ি তো দুরের কথা হেঁটে পার হওয়াই মুশকিল। তার পরও প্রয়োজনের তাগিদে ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং প্রাণ কোম্পানির কর্মীসহ গ্রামবাসীকে। এ রাস্তাটিই এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলের যাতায়াতের একমাত্র পথ। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা। রাস্তাটি পাকা হলে এ এলাকার দুই হাজার মানুষের কষ্ট দূর হবে। শায়েস্তাগঞ্জের রাস্তাঘাটগুলো মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

সুতাং বাজারের রাস্তা

সুতাং বাজারের রাস্তাঘাটের বিষয়ে কথা হয়, নুরপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিকীর সাথে তিনি বলেন, বাজারের অবস্থা খারাপ আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শৈলজুড়া গ্রামের রাস্তার বিষয়ে কথা হয় ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল জজ মিয়ার সাথে তিনি বলেন, শৈলজুড়া গ্রামের রাস্তাটি আমার নজরে আছে, আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে আলাপ করব।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো:মিনারুল ইসলাম বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই এলজিইডির নতুন স্কীম শুরু হবে, তখন আমরা যেসব রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় আছে এইগুলি তালিকায় নাম দিয়ে দিব, আশা করছি শীঘ্রই পুনরায় মেরামত করা হবে।




error: Content is protected !!