নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষে প্রধান সমন্বয়ক এ,কে মাহমুদ,সুমনা আক্তার লিলি
ও আইনুল ইসলাম বিশাল গণের ডাকে আগামী ১৯ জুলাই রবিবার বার কাউন্সিলের সামনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সনদের দাবীতে মহাসমাবেশ।
সমন্বয়কদের সফল নেতৃত্বে,আপ্রাণ চেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য পালিত চলমান কর্মসূচী। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তারা গত ৭ জুলাই ঢাকার বার কাউন্সিলের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে। একই দিন বিকেলে আমরণ অনশণ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে। সুপ্রিম কোর্টে আমরণ অনশনের পর আবার বার কাউন্সিলের সামনে চলছে বর্তমান অনশন কর্মসুচী। দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৮১ টি বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এ মহাসমাবেশে অংগ্রহণ করবে বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের আইন পেশায় তালিকাভূক্তির দীর্ঘ পরীক্ষা জট ও বর্তমান উদ্ভুত করোনা ভাইরাস জনিত কারনে তাঁদের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে বছরে দুইটি আইনজীবী তালিকাভূক্তির কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটা পরীক্ষা সমাপ্তের কথা থাকলেও সেটাও সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। ফলে এ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের নেমে এসেছে দূর্ভোগ। ফলে প্রিলি পাশকৃত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের রিটেন ভাইভা মওকুফ করে গেজেটের মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভূক্তির জন্য এ মহাসমাবেশ কর্মসূচী পালন করবে তাঁরা।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবী- যেহেতু বর্তমান করোনা পরিস্থিতে ২০১৭ ও ২০২০ সালের এমসিকিউ উত্তীর্নদের রিটেন ভাইভা পরিক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটা কেউ জানে না। তাই প্রিলি পাশকৃত ২০১৭ এবং ২০২০ সালের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন ও সারাদেশে জেলা ভিত্তিক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছিলেন।