শীতে কাঁপছে হিলি,জনজীবনে দূর্ভোগ

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলিতে সকাল থেকেই ঝরছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে পথঘাট কিছুই দেখা যাচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছেন না। যারা জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন তারাও কাজ না পেয়ে অলস সময় পার করছেন। এদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতলে ভর্তি হচ্ছেন সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
রোববার ( ১৪ জানুয়ারি) এলাকাবাসী,রোগীসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ফরহাদ হোসেন বলেন,১ সপ্তাহ ধরে হিলিতে রোদের মুখ দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে পরদিন বিকেল পর্যন্তও রোদ উঠছে না। তার সঙ্গে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আর বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা বয়স্ক মানুষ তারা শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ি থেকে কাজ ছাড়া বের হচ্ছি না। তিনি সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানান।
হাকিমপুর হাসপাতালে ভর্তি রফিকুল ইসলাম বলেন,গতকাল শনিবার ( ১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে শীতের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছি।
আরেক রোগী মোছা: কুলসুমা বেগম বলেন, শীতের কারণে গলা ব্যাথা করছে। তাই গতকাল শনিবার ( ১৩ জানুয়ারি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসকরা ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
আজ দুপুরে কথা হয় হিলি বাজার সিপি রোর্ডের এলএসডি গোডাউন মোড়ে বসা কামার কৃষ্ণ কর্মকার এর সাথে। তিনি বলেন,টানা কয়েক দিন ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাস। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কিন্ত কি করব দাদা পেট তো আর মানেনা। তাই আজ কাজ করার জন্য হিলি বাজারে আসছি। সকাল থেকে বসে থাকার পর দুপুরে দুটি বটির কাজ পেয়েছি। দুটি বটির কাজ করে একশত টাকা পেয়েছি। কয়েক দিন থেকে তেমন কাজকাম নেই।প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ শত টাকা কাজ করি। আজ একেবারে কাজ নেই। এই একশত টাকা দিয়ে কি নিমু কিছুই বুঝতে পারছি না।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মশিউর রহমান জানান,এই সময়টায় অতিরিক্ত শীতের কারণে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগে দেখা দেয়। তাই সকলকে সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের ওষুধসহ সবধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, হাকিমপুর উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ২ হাজারেরও বেশি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ( কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরও শীতবস্ত্রের জন্য জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে।আসলে শীর্তাত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।



error: Content is protected !!