সাতক্ষীরা প্রতিনিধি;কিছু স্মৃতিচারণ বর্ণনা,
১৯৭২ সালের ৪টা জুলাই সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ১২ নং গাবুরা ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন
তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে উথান ও পতনের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হলেও কখনো পিছপা হননি, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকার রাজপথের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের একজন নিয়মিত মুখ ও বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে সেই দিনে লেনিনের উপস্থিত ছিলো সবার মতো প্রথম সারিতে, ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলেও তার রাজনৈতিক প্রতিভার স্ফূরণ ঠেকানোর জন্য সাতক্ষীরা জেলার তৎকালীন ক্ষমতাশীনরা বরাবরই চেষ্টা করলেও পারিনি। ২০০১ সালে তৎকালীন সাতক্ষীরা -০৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায় প্রিন্সিপাল শ্রদ্ধেয় স্যার প্রয়াত হক সাহেব তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বিরোধিতা করলেও তখন তরুণ বজ্রকন্ঠের লেনিন দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠে থাকে কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের নেতাদের বেঈমানী ও স্বেচ্ছাচারিতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হেরে যায়,, সারা দেশে হরতাল চলছে শ্যামনগরে ও তার ব্যাতিক্রম না, টগবগে তরুণ লেনিন ও হক সাহেবের ডাকে দীর্ঘ ৫/৬ কি.মি পথ কাঁদায় হেঁটে গেলেন শত শত মানুষ নিয়ে হরতালে শান্তি পূর্ণ হরতাল শেষ করে রাত নয়টায় না খেয়ে বাড়ি পৌঁছায়,, ২০০৪ সালের ১৭ই অক্টোবর ক্ষমতাশীনরা লেনিন ভাই কে হত্যার উদ্দেশ্য গাবুরা ইউনিয়নের মোড়ল বাড়ী জামে মসজিদ থেকে মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে মানুষ নিয়ে নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর শ্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যেতে থাকে, লেনিন ভাই তখন বুঝতে পেরে আব্দুল হামিদ ( সাব কনটাক্টার) এর বাড়ী অবস্থান নেন কিন্তু শত্রুর রক্তচক্ষুস পিছে ছাড়েনি ঘরের বিভিন্ন দিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে সবার হাতে লাঠি, দা, রামদা নিয়ে তারা বিভিন্ন গালিগালাজ করতে থাকে, তখনই জাহাঙ্গীর নামক একজন নদী পার হয়ে শ্যামনগর থানা থেকে পুলিশ এনে লেনিন ভাই কে মহান আল্লাহর রহমতে শেষ রক্ষা করেন। ২০০১ সাল পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ ভোটের মাধ্যমে লেনিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, এলাকায় তার বিচার ব্যবস্থা সরকারী রিলিফের সুষ্ঠ বণ্টন জনকল্যাণমুখী উন্নয়ন, জনগণের বিপদে যে কোনো সময় ছুটে চলা তার নিত্যা দিনের সংগী,, তত্বাবাধয়ক সরকারের সময়ে জরুরি গ্রেফতার করা হয়, তার বিরুদ্ধে তখন এতো এতো নির্যাতন করা হয়েছিল যা পরবর্তীতে ছাড়া পেলেও দলের জন্য জীবনের অর্ধেক সময় ওখানে শেষ হয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে ৮০ এর অধিক মিথ্যা মামলার ছিলো, একাধিকবার কারাবন্দী হলেও দলের দুঃসময়ে নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে সকল ভয় ভীতি কে উপেক্ষা করে সকল কে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন লেনিন চলছে ৪দলীয় ঐক্যজোটের বিশাল মিছিল শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেই সময়ের আর বর্তমান সময়ের নেতারা পালিয়ে যায় কিন্তু লেনিন দৃঢ় বিশ্বাস ও মনোবল নিয়ে সেই দিন নেতা কর্মী সাথে নিয়ে মিছিল পন্ড করে উপজেলা আওয়ামী লীগ কে শক্ত অবস্থান নিয়ে যায়, আজ অনেকে আওয়ামী লীগ বলে বুক ফাটায় তারা অনেকে সেই দিনের মিছিলে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছিলো..
২০০৯ সাল পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবনে দেখা দেয় চরম দুঃসময় ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় শ্যামনগর সহ পার্শবর্তী কয়রার ইউনিয়ন, লেনিন ভাইয়ের সৎ পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার সরকার গাবুরা, সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন লেনিন ভাইয়ের উপস্থিত ছিলেন অন্য সবার থেকে আলাদা, ভাঙ্গণ কবলিত উপকূলীয় এলাকায় একের পর এক নিয়ে আসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী, প্রিন্সেস এ্যানি সহ দেশি বিদেশি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা
বাবা প্রয়াত আলহাজ্ব জি এম নওশের আলী শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,, লেনিন – ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি, বর্তমান ১নং সদস্য শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রয়াত জি এম আলী আযম টিটো, সাবেক সভাপতি ( ভারপ্রাপ্ত) ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সাবেক চেয়ারম্যান ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ।
সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন।।