শুল্ক দিয়েই হচ্ছে কয়লা পাথর আমদানি

প্রকাশিত: ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গত ৪ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘শুল্ক ফাঁকিতে কয়লা পাথর আমদানি’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারকগ্রুপের নেতৃবৃন্দ। সেখানে প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৬টি স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে আসছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত অগ্রিম রাজস্ব পরিশোধ করে আমদানিকারকগণ কয়লা ও পাথর আমদানি করেন। কয়লা ও পাথর পরিমাপের জন্য শুধুমাত্র তামাবিল স্থলবন্দরে পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্য কোন স্থল শুল্ক স্টেশনেরই ভারত ও বাংলাদেশের উভয় দিকেই পরিমাপক যন্ত্র নাই। শুধু তামাবিল স্থলবন্দরে পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমেই আমদানিকৃত ট্রাকবোঝাই কয়লা ও পাথর পরিমাপ করা হয়। ট্রাকবোঝাই কয়লা থেকে ট্রাকের ওজন বাদ দিয়ে আমদানিকৃত কয়লা ও পাথর পরিমাপ করা হয়। যে সকল স্থল শুল্ক স্টেশনে পরিমাপক যন্ত্র নাই সেগুলোতে ফিতার মাধ্যমে কয়লা ও পাথরবোঝাই ট্রাকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা নির্ণয় করে পরিক্ষিত হারে মেট্রিক টন হিসাব করে শুল্ক ও করাদি আমদানিকারকগণ পরিশোধ করেন। বর্তমানে তামাবিল ও সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভোলাগঞ্জ দিয়ে কখনও কয়লা আমদানি হয়নি। প্রকাশিত সংবাদটি তাই সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক।’তিনি বলেন, ‘তামাবিল স্থলবন্দর একটি আধুনিক স্থলবন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। তামাবিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-সহ অন্যান্য সংস্থার মনিটরিংয়ে আমদানি-রপ্তানিকার্য সম্পাদন হচ্ছে। এমতাবস্থায় গুল্ক ফাঁকি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।তিনি আরও বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহল বাস্তব অবস্থা যাচাই না করে শোনা কথার উপর ভিত্তি করে মনগড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে বিভ্রান্তমূলক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে ফায়দা কুঁড়াতে চায়। করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্ব চরম অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে। দেশের সকল আমদানিকারকগণ ও ব্যবসায়ী সমাজ বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিন কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসার লাভে-মূলে সব হারিয়ে সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহযোগিতা দিয়ে অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার কারণে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। কিছুদিন ধরে বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলি সীমান্ত দিয়ে কযলা আমদানি চালু হয়েছে। এখন একটি স্বার্থাম্বেষী মহল পত্রিকার মাধ্যয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া ও সাউথ আফ্রিকা হতে কয়লা আমদানি অব্যাহত রাখতে এবং ফায়দালোভী সিলেটবিদ্বেষী একটি মহল সিলেটের সম্ভবনাময় পাথর ও কয়লা আমদানি ব্যবসাকে চিরতরে বন্ধের পাঁয়তারা করছে। কেননা সিলেটের পাথর ও কয়লা আমদানি চালু থাকলে তাদের ফায়দা লুটতে অসুবিধা হবে। ব্যবসার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই তারা সংবাদপত্রের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ, তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ-এর সকল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে পত্রিকায় প্রকাশিত উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থে ‘অপপ্রচার’ বন্ধেরও আহবান জানানো হয়।সংংবদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব আলখাছ উদ্দিন খন্দকার, বিশিষ্ট ব্য্যাবসায়ী আলহাজ্ব শামসুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল মতিষ পাল,পিন্টু চক্রবর্তী,ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, চেয়ারম্যান খসরুল আলম,চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর, আবুল খায়ের ,সহ প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ি গণ উপস্থিত ছিলেন।




error: Content is protected !!