মাসুদ আলম চয়ন মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
শ্রীমঙ্গলে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী অনুজ কান্তি দাশকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক অনুজ কান্তি দাশের স্ত্রী অনিতা দাশ গত ২৯ নভেম্বর সিলেট রাগিব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।তার এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে অনিতার বাবা দিলিপ দাশ শ্রীমঙ্গল থানায় অনুজ ও বাবা মায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।তিনি তার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
এদিকে অনুজ কান্তি দাস তা অস্বীকার করে জানান, তিনি একটি অনুষ্ঠানে থাকাকালীন তাঁর ঘর থেকে ফোন গেলে তিনি বাসায় এসে স্ত্রী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে জানতে পারেন।তখন তাকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল পলি ক্লিনিকে নেয়া হয়।পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে ২৯ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে এটি হত্যা না কি স্বাভাবিক মৃত্যু এ নিয়ে নানাপ্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ প্রশ্নের উত্তর কেবল ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টেই পাওয়া যাবে বলে অভিজ্ঞজনদের ধারণা।
এ ঘটনায় অনিতার বাবা দিলিপ দাশ শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে স্বামী অনুজ কান্তি দাশ,অনুজের মাতা পূরবী রাণী দাশ (৬৫) ও পিতা নরেশ চন্দ্র দাশ (৭০) কে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ গত শুক্রবার অভিযোগটি নথিভুক্ত করে অনুজকে গ্রেফতার করে। অনুজ কান্তি দাশ দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়,২০১৭ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরারআবদা গ্রামে দিলিপ দাসের মেয়ে অনিতা রানী দাসের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বাসিন্দ্রা নরেশ চন্দ্র দাশ এর পুত্র অনুজ কান্তির বিয়ে হয়।
মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন,বিয়ের পর থেকে অনুজ কান্তি দাস তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে।অনুজ নেশা করে প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো এবং নির্যাতনের কারণে তার মেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন।শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো,আব্দুছ ছালেক জানান,দুপুর তিনটায় অনুজ কান্তি দাসকে তার স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।