অপরাধ বিনোদন ডেস্ক: সংসার সুখী করার জন্য আমাদের আত্মীয়-পরিজনেরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সবার সব পরামর্শই যে সঠিক, তা কিন্তু নয়। আবার দাম্পত্যের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তার ঠিক করার দায়িত্ব একান্তই আপনাদের দু’জনের। ভালো পরামর্শ মেনে চলতে সমস্যা নেই। তবে কিছু পরামর্শ আছে যেগুলো মেনে চললে আপনার সংসার থেকে সুখ দূর হবে দ্রুতই। জেনে নিন সংসারে সুখ চাইলে আত্মীয়দের কোন কথাগুলোতে একদমই কান দেবেন না-
স্বামীর সঙ্গে তর্ক করবে না: তর্ক করলেই যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, এমন কিন্তু নয়। তর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করা এবং কোথায় দু’জনেরই ভুল হচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। তাই অযথা ভয়ে চুপ থাকার মানে নেই। যদি মনে করেন, আপনি দোষী নন অথচ দোষী ভাবা হচ্ছে সেক্ষেত্রে চুপ না থেকে মুখ খুলুন। একটি সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য দু’জনেরই সমান সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। তাই আত্মীয়রা যতই বলুক, ‘স্বামীর সঙ্গে তর্ক করবে না’, তাতে কান দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আপনিই বুঝতে পারবেন কখন তার কথার উত্তর দেয়া উচিত আর কখন উচিত নয়।
স্বামীকে পাল্টানোর চেষ্টা করো: মনে রাখবেন, আপনার স্বামী জন্ম থেকেই অন্য একটি পরিবারে, অন্য একটি পরিবেশে মানুষ হয়েছেন। আপনিও তেমনটাই। একই পরিবারের দু’জন মানুষই কখনো একইরকম হয় না, আর স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে তো প্রশ্নই আসে না। তাই তাকে তার মতো করেই চলতে দিন। যদি স্ত্রী স্বামীকে কিংবা স্বামী স্ত্রীকে পাল্টানোর চেষ্টা করেন তবে সেটি হবে বড় একটি ভুল। পরস্পরের ব্যক্তিস্বাতন্ত্রকে মেনে নিয়ে জীবনটা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। তবে অপরজন কোনো অন্যায় কাজ করলে তা থেকে তাকে বিরত রাখবেন।
সংসারের রাশ নিজের হাতে রাখো: সংসারের পুরো কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে রাখার পরামর্শ যে-ই দিক না কেন, তার কথা শুনে চলতে যাবেন না। কারণ সংসার দু’জনের। তাই দায়িত্ব এবং কাজগুলোও ভাগ করে নিন। সবকিছু নিজে সামলাতে গেলে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হবে। আর সেখান থেকে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা প্রবল। তাই সুখে সংসার করতে চাইলে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিন।
স্বামীর ফোনের ওপর নজর রাখো: এমন ধরনের পরামর্শ যারা দেবে, তাদের এড়িয়ে চলুন। যত কাছের মানুষই হোক, অন্য কারও ফোন তার অনুমতি ছাড়া ধরাও এক ধরনের অভদ্রতা। আর ঘাঁটাঘাঁটির তো প্রশ্নই আসে না। স্বামী কিংবা স্ত্রীর কোনো বিষয়ে সন্দেহ হলে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। আলোচনা করে সমাধানে আসুন। লুকিয়ে ফোন ঘাঁটতে যাবেন না।