নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে সবুজে সবুজে ছেঁয়ে গেছে কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের বাংলাদেশ। এ দেশের কৃষকদের সোনালী স্বপ্নই হচ্ছে ধান। ধানের রঙ সোনালী তাই ধানকে সোনালী ফসল বলা হয়ে থাকে। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে খাদ্য শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি বেশি রয়েছে। সে কারণে এ উপজেলায় বছরে ৩ বার ভালোভাবে ধানের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। এর পাশাপাশি রবিশস্য’রও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টণ। ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিলো। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্যও পেয়েছে। তাই এ উপজেলার কৃষকরা খুশিতেই রয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৩৪ ও কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমির চিত্র অনেকটা ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ দিকে যথারীতিভাবে ফসলি জমির যত্ন নিতে ব্যস্ত রয়েছে কৃষকরা। মাঝরাপোকা, ছত্রাক ও বালাইদমনে পূর্বপ্রস্ততি রেখেছে কৃষকরা। যাতে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। এ উপজেলায় ফসল উৎপাদনের কারিগর হিসেবে খ্যাত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেছেন, ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কাজ করে আসছি। কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এবারো আমন ধানের ফসলি জমির চিত্র অনেকটা ভালো দেখছি। আশাকরি এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হলে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। এ উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে বেশি খুশি হন। উপজেলার শালিকাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা জানান, আমি ৪০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। এখন আমন ফসলি জমির ধানগাছের থোড় বের হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। দোহার গ্রামের কৃষক অনন্ত কুমার জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। ফসলি জমির চিত্র বেশ ভালো। এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। নন্দীগ্রাম সদরের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, আমি ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। ফসলি জমির চিত্র খুব ভালো রয়েছে। ধান পাকতে এখনো দেড় মাস সময় লাগবে। তারপর আমরা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু করবো।