মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজবাড়ী মহিলা দলের সদস্য অনলাইন এক্টিভিটিস
সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ইসলাম(৩৫) প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার(৬ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ীতে স্মৃতি ইসলামের দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। ফরিদপুর বিভাগীয় টিম ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিনিধি দল স্মৃতি ইসলামের বাড়িতে আসেন।
নিপুন রায় চৌধুরী বলেন,রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা এবং রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে অমানবিকভাবে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্মৃতির দুই শিশুসন্তান এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আমরা বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এর প্রতিনিধি দল আজ রাজবাড়ীতে এসেছি।
নিপুন রায় চৌধুরী আরও বলেন, স্মৃতি ইসলাম কি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত ছিলো যে তাকে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে।বাসায় তার দুইটি শিশু সন্তান থাকার পরও স্মৃতিকে পুলিশ রাতে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।স্মৃতিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার দুই শিশু সন্তান যে একা বাসায় পড়ে ছিলো এই সরকারের কি বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে গেছে।যদি ওই রাতের অন্ধকারে আরেকটি দূর্ঘটনা ঘটে যেতো তাহলে এর দায়ভার কি এই সরকার নিতো।
বার্তমানে একটি অবৈধ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।এই সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারছে না।অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তিনি তার সকল অবৈধ কর্মকাণ্ড ও তার সংগঠনের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে লুকিয়ে রাখার জন্য ও বৈধ করার জন্য এই ডিজিটাল আইন করেছে।এই ডিজিটাল আইন প্রনয়ণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির বাক স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে।
স্মৃতি আজ এই অবৈধ সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছে।আমরা নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম তার পরিবারের পাশে আছি। দেশের গনতন্ত্র পূনরদ্ধারে আন্দোলন ও একটি স্বাধীন বাংলাদেশে যে স্বাধীন মত প্রকাশে আন্দোলন এই আন্দোলনে আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে মাঠে আছি।
স্মৃতির পরিবারের দায়িত্ব হয়তো এই সরকার নিবে না।কারণ এই অবৈধ সরকার দেশের কোন পরিবারের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ।শুধু স্মৃতির পরিবার না বাংলাদেশের সকল নিপিড়ীত নির্যাতিত পরিবারের দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দেশরত্ন তারেক রহমান নিয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ,নারী শিশু অধিকার ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার বেড়াডাঙ্গা এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ইসলাম কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার মো. খোকনের স্ত্রী। তিনি ‘রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তার স্বামী মো. খোকন আহম্মেদ একজন প্রবাসী।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উল্লিখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করেন।
এদিকে গ্রেপ্তারের আগে ফেসবুক লাইভে আসেন সোনিয়া আক্তার স্মৃতি। সেখানে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাকে মধ্যরাতে কেন ধরতে আসছেন? আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না। আমার ছোট ছোট দুটা বাচ্চা আছে। আমি তাদের রেখে আসছি। আমাকে ১০-১৫ মিনিট সময় দেন। আমি স্বেচ্ছায় বের হচ্ছি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন বলে ফেসবুকে সবার উদ্দেশ্যে জানান।