সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে কলাপাড়া পৌর কৃষকলীগ সভাপতি সৌরভের রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন ॥
রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় মিথ্যা,বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করলো সৌরভ সিকদার। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সংখ্যালঘুদের সম্পদ দখলের পায়তারার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং গভীর রাতে মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে আমি এবং আমার সংগীয় অসীম হাওলাদারকে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সম্পত্তি দখলের এ প্রসঙ্গটিকে টানা হয়েছে। গত ৯ জুলাই ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ‘ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুর সম্পদে নজর’ এমন অকাট্য, মিথ্যা ও খোড়া প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন কলাপাড়া পৌর কৃষকলীগের সভাপতি এস এম মুর্তাল্লা সৌরভ। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অসীম চন্দ্র হাওলাদার এবং
তার স্ত্রী পূর্নিমা রানী।
লিখিত বক্তব্যে সৌরভ সিকদার বলেন, গত ১৩ জুন মধ্যরাতে আমার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে সংখ্যালঘু অসীম হাওলাদারের জমিতে অবৈধভাবে ঘর তুলছে বিষয়টি স্থানীয় থানাকে ফোন দিয়ে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাইম’র নেতৃত্বে মজিবর, হাকিম, মাহফুজুর রহমান, মনিবুর রহমান, মহিব্বুল্লাহ, আব্দুল মোমেন
আমাকে এবং আমার সহযোগী অসীম হাওলাদার বেধরক মারধর করে। সংবাদ পেয়ে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনায় এসআই সুকন্ঠ আমাদের দু’জনকে
গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্বার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে নাইম, মহিব্বুল্লাহসহ আরও দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় হাসানুজ্জামান সিকদার স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস দেয়।
কান্না বিজরিত কন্ঠে সৌরভ শিকদার আরও বলেন, ঘটনারদিন রাতে তারা আমাকে ও অসীম হাওলাদারকে হাত-পা বেঁধে মারধোর করে ক্ষ্যান্ত হয়নি গায়ের উপড় উঠে নৃত্য করেছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনা হচ্ছে তারা নিজেরাই সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি দখলসহ নেছারুদ্দীন ফাজিল মাদ্রাসার ৩০ খতিয়ানের জমি বিক্রি করেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ১৪১ খতিয়ানে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্নসহ সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এসব দখলবাজরা আমার নামে মিথ্যা মামলা আনায়ন করেছে।
অভিযুক্ত নাঈম ও মনিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, এসব ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো সৌরভ সিকদারই আমাদের জমি দখল করতে এসেছে এবং ১৩ জুন রাতে আমাদের তাড়া করে বাড়িতে ঢুকানোর সময় আছাড় খেয়ে পড়ে যায় বিষয়টি
স্থানীয়রা একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনার দিন রাতে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাটি জমিজমা নিয়ে বিরোধ। উভয়পক্ষ স্থানীয়দের মাধ্যমে শালিস মিমাংসা করবে বলে চলে যায়।