মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মামলায় বিএনপির তিন জন নেতাসহ নতুন আরও আট জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (২৫ অক্টোবর) জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব-১১ বিএনপির তিনজন নেতা-সমর্থকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুধারাম থানার আট নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.সুমন (৩৩), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইমরান হোসেন নিশান (২০), একই ওয়ার্ডের মো.রনি (২০), চৌমুহনী পৌরসভার মীরওয়ারিশ গ্রামের বিএনপির সমর্থক মো.ইউসুফ (৩০), চৌমুহনী পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের আক্তারুজ্জামান (৫০), সোনাইমুড়ী উপজেলার রবিউল হোসেন ওরফে রনি (৩২), লক্ষীপুর সদর উপজেলার সাহেদুল ইসলাম (২২) এবং হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছেরাজুল হক বেচু (৪২)।মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আসামি ইমরান হোসেন নিশান আগে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহিম সুজনসহ কয়েকজন মন্দিরে লুটপাট করে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে। আসামি নিশান আট হাজার টাকা ভাগে পায়। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা সে খরচ করে। বাকী ২৫০০ টাকা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।তিনি আরো জানান, আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদের মধ্যে ১০ জনের রিমান্ড চাওয়াদের মাঝে তিন জনের আবেদনের শুনানি হবে আদালতে।