সিরাজদিখানের শাপলা যাচ্ছে ঢাকার পাইকারী বাজারে

প্রকাশিত: ১১:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০

হাবিব হাসান (মুন্সিগঞ্জ)

শুধু গ্রামেই নয়,শহরেও তরকারি হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রায় সবখানে খাল, বিল,পুকুর, ডোবায় শাপলা পাওয়া যায়। বিলের পাশের দিনমজুররা নিবেদিত প্রাণ এ শাপলা সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কাটাচ্ছেন নিজের সংসারের দৈন্যদশাও।

এমনই সংসারের দৈন্যদশা কাটানো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া-খিল্লাপাড়া এলাকার দিনমজুর শাপলা বিক্রেতা মাহফুজ(৫০) সাথে কথা বলে জানা যায়। তার মতো এমন ২০জন শ্রমিক প্রতিদিন বিভিন্ন বিলে কাঠের তৈরি ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে শাপলা সংগ্রহ করে ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে,ঢাকার পাইকারদের কাছে তুলে দেন প্রতি আটি ১০ টাকা করে। প্রতি আটিতে থাকে ৫০টি শাপলা লতা,এতে তাদের আয় হয় প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। মাহফুজ জানান অন্য মৌসুমে বর্গাচাষী হিসেবে অন্যের জমি নিয়ে চাষাবাদ করি ক্ষেতে খামারে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য শ্রমিক(২৫) লজ্জা মুখে জানান,বর্ষার ৬ মাস অন্য কাজ না থাকায় পেশা বদল করে বিলের শাপলা তুলে সংসার চালান।এতে নিজেদের সংসারের যাবতীয় চাহিদা মেটাচ্ছেন অন্যদিকে জাতীয় ফুল শাপলা কে করে তুলছেন জনপ্রিয় সবজি।

জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতায় রয়েছে ১.৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.১ গ্রাম আঁশ, ৩.১ গ্রাম ক্যালোরি-প্রোটিন, ৩১.৭ গ্রাম শর্করা, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। শাপলার ফল দিয়ে তৈরি হয় চমৎকার সুস্বাদু খৈ।

পুষ্টিসমৃদ্ধ শাপলা সবজি হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। তারা বলছেন, যে শাপলা বিলে জন্মে বিলেই পচে যেত, সে শাপলা সবজি হিসেবে জনপ্রিয় ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. বদিউজ্জামান বলেন, শাপলায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। যা আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ মো. শাফিয়ার রহমান বলেন প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে মানুষ। বিষয়টি ছোটভাবে দেখার সুযোগ নেই।




error: Content is protected !!