“সিলেটে চা শ্রমিকদের আন্দোলনে তিনশত টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে”
রাাকিব উদ্দিন লস্কর, মাধবপুর হবিগঞ্জ।
হবিগঞ্জ জেলার ২৪ টি চা বাগানে দৈনিক ৩০০ টাকা মুজুরিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকেরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যে ভাবে বাড়ছে এতে করে চা শ্রমিকদের জীবন মান অচল হওয়ার উপক্রম।দফায় দফায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে কিন্তু বেতন বাড়ছে না। মান্দাতার আমলের ১২০ টাকা বেতনেই চলছে চা শ্রমিকদের মজুরি।
আন্দোলনের মুখে মালিক পক্ষ শ্রমিক পক্ষ ও সরকার ত্রিপাক্ষীয় আলোচনায় ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এতে কি আর সংসার চালানো সম্ভব। তাই নেতারা মানলে ও সমঝোতা মানে না সাধারণ শ্রমিকরা, আন্দোলনের অভিনব কায়দা বেচে নেয় সাধারণ শ্রমিকরা। শহীদ নুর হোসেন কে অনুকরণ করে খালি গায়ে শারা শরীরে লেখা ৩০০/- টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে। প্লে বডি নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় এক যুবক।
চা শ্রমিকদের এ আন্দোলনকে বেগবান করতে সমর্থন যোগিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন,সুুুমন বলেন চা শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক।
মুন্নি নামক এক মহিলা চা শ্রমিক বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কাচা মরিচ আর পিয়াজ কেটে লবন আর ২ টা রুটি নিয়ে ঘন্টা বাজার সাথে সাথে দোড়ে কুড়ি তুলতে যাই, ফিরতে ফিরতে বেলা শেষ। এত পরিশ্রমের ফলে নারী দিবস, শ্রমিক দিবসে ও আমরা পাইনা কোন সুবিধা।
জেলার চানপুর, সুরমা, পত্রখোলা, বৈকুন্ঠপুর, চন্ডীছড়া, রশিদপুরসহ বিভিন্ন বাগানগুলোতে চা শ্রমিকেরা মুজুরিবৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক সংগঠন এর সভাপতি নৃপেন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এতো বেড়েছে এখন দৈনিক ১২০ টাকা মুজুরি দিয়ে চলা বড় দায়। মুজুরি বাড়াতে হবে। আমরা চা শ্রমিক। আমাদের প্রতি মালিককে দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্হা রেখে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান ও মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর অনুরোধে আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি। সাধারন শ্রমিকদের শান্ত করতে চেষ্টা করছি। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুরাহা করবেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের এ দেশে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। আমরা মনে করি ও বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন সামঞ্জস্য করে স্বাচ্ছন্দ্যে দিনাতিপাত করার সুযোগ দিবেন।উল্লেখ্য যে কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা ও পঞ্চায়েত শ্রমিক নেতাদের সমঝোতার অভাবেই আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা দিলেও মুলত সাধারণ শ্রমিকরা কাজে ফিরে নি।তাছাড়া আন্দোলনে তৃতীয় শক্তি ঢুকে পড়ছে বলে শ্রমিক নেতাদের দাবি।