এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল সুকৌশলে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে যে, খাস জমি বন্দোবস্ত পেতে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিলে পাওয়া যাবে সরকারি জমি বাড়ি। আর এই গুজবে বশবর্তী হয়ে ফটোকপির দোকানে ভুমিহীন মানুষ জমি বন্দোবস্তের ফরম সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। অথচ খাস জমি বন্দোবস্তের খবর জানেনা প্রশাসন চেয়ারম্যান মেয়র কাউন্সিলর কেউ। দেদারছে খাস জমি বন্দোবস্তের ফরম বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অসহায় মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা।
সোমবার (২০ জুলাই) খাস জমি বন্দোবস্ত ফরম সংগ্রহকারি কয়েক জন জানান, জনৈক বক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ,যাহারা ভুমিহীন সরকারি জমিতে বসবাস করে। তারা খাস জমির বন্দোবস্তের ফরম সংগ্রহ করে জমা দিলে পাবে জমি বাড়ি। এই জন্য তারা পাঁচ টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করে চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলের স্বাক্ষর নিতে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন।
এব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন সরকার বলেন, অনেকে তার কাছে ফরমে স্বাক্ষরের জন্য গিয়েছিল। তবে তিনি ব্যপারটি বানোয়াট বলে জানান।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন জানান, বেশকিছু দিন আগে তার কাছেও কয়েকজন খাস জমি বন্দোবস্তের ফরমে স্বাক্ষরের জন্য এসেছিল। তিনি আগত ব্যক্তিদের বলেছেন এমন ভুয়া তথ্য তাদের কে দিয়েছে। এব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তবে তিনি বলেন, কেউ হয়তো ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বলে জানান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ জানান, আবেদন জমা দিলে খাস জমি বন্দোবস্ত সবাই পাবে এ খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে নিন্মোক্ত ব্যক্তি আবেদন করলে সরকারি ভাবে বাড়ি বা জমি পাবে যেমন-দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গা পরিবার,সক্ষম পুত্রসহ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার, কৃষি জমি নাই ও বাস্তবাটিহীন পরিবার,অনধিক ০.১০একর বসতবাটি আছে কিন্তু কৃষি জমি নাই এমন কৃষি নির্ভর পরিবার, অধিগ্রহণের ফলে ভূমিহীন হইয়া পড়িয়াছে এমন পরিবার।এই ধরনের পরিবার যথার্থ নিয়মে আবেদন করলে খাস কৃষি জমি বন্দোবস্ত পেতে পারে বলে জানান। এব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।