আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশে লকডাউন শব্দটি ব্যবহার না হলেও সাধারণ ছুটি অনেকটা লকডাউনের মত করেই পালন হচ্ছে। যেসব এলাকা বা অঞ্চল, বাড়ি করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হচ্ছে সেসব বাড়ি, এলাকা বা অঞ্চল আনুষ্ঠানিক লকডাউন ঘোষনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আ’ক্রান্ত ও মৃ’ত্যুর সংখ্যা রাজধানী ঢাকায়।
অথচ গেল কয়েকদিন আগেই খুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা ও এর আশেপাশের গার্মেন্টস। দুই তিন ধরে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় যানবাহনের ভির। মানুষও চলাচল করছে আগের চেয়ে বেশি।
তবে লকডাউন প্রত্যাহার বা শিথিল করার আগে ছয়টি শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এসব শর্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে?
৬টি শর্তের কথা বলা হয়। সেখানে ১ম যে শর্তের কথা বলা হয় তা হলো; এমপি পড়ালেন করো’নায় মা’রা যাওয়া পু’লিশ কর্মক’র্তার জানাজা। দ্বীতিয়ত, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটা রোগীকে শনাক্ত, পরীক্ষা, আইসোলেশন আর চিকিৎসায় এবং সংস্প’র্শে আসা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে সক্ষম।
প্রকৃতপক্ষে দেখা গেছে এই ৬টি শর্তের কোনটিই এখনও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাহলে প্রশ্ন এখন তাহলে কেন শিথিল করতে যাচ্ছে লকডাউন।গত করো’নাভাই’রাসের
বিস্তার ঠেকাতে এক মাস ধরে চলা অব’রুদ্ধ অবস্থা এখন কিছুটা শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি বাঁ’চাতে সীমিত আকারে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া যায়। তবে তা সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে করতে হবে।
করো’নাকালের অর্ধশত দিন পেরিয়ে অ’পরিক’ল্পিত লকডাউন বাংলাদেশকে ঝুঁ’কিতে ফেলছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, হঠাৎ করে শিথিলতা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। তাই দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আর তা বাস্তবায়ন করতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেই। তবে এমন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী নয় বরং সুরক্ষা মা’থায় রেখে জীবিকার পথ খুলে দেয়া, বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।