স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেললেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥

নব নির্মিত কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। ম্যুরাল ভেঙে ফেলার বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ২০২০ সালে জেলা পরিষদের প্রঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি তৈরি করা হয়। গত দুইদিন ধরে তাবু দিয়ে ঢেকে সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। জেলা পরিষদ প্রঙ্গনে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি দোকান উন্মুক্ত করতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের নির্দেশে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ম্যুরালটি ভাঙ্গার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে আজকের বাংলাদেশ। সেই মহান নেতার ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি তাদের বিচার চাই। ২০২০ সালে মুর‌্যালটি উদ্বোধন করা হয়েছিলো। ৬ লাখের সামান্য বেশি টাকা ব্যয়ে মুর‌্যালটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমান জেলা পরিষদের লোকজন ডিজাইন ছাড়াই দোকান নির্মাণ করেছেন। দোকানগুলো উন্মুক্ত করার জন্য মুর‌্যালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান বলেন, ম্যুরালটির অবমাননা ও অসন্মান হচ্ছিলো। এজন্য সেটি অপসারণ করা হয়েছে। সুবিধামতো জায়গায় ম্যুরালটি নির্মাণ করা হবে।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক প্রশাসক এহতেশাম রেজা জানান, বিষয়টি আমি জানি না, এইমাত্র শুনলাম। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




error: Content is protected !!